শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
২০০৪ সালের ২৯ মার্চ খুনের দায়ে নিম্ন আদালত কুলেশচন্দ্র মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। যা তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। বিষয়টি ২০০৭ সালে যায় সুপ্রিম কোর্টে। খুনের অভিযোগ বদলে দেশের শীর্ষ আদালত মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরোক্ষ সম্পর্ক থাকার অভিযোগে সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে দেয়। সেইমতো সব মিলিয়ে ১০ বছর সংশোধানাগারে কাটিয়ে তিনি মুক্তি পান ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২৯ মার্চ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, যেদিন থেকে ঘোষিত সাজা অনুযায়ী তাঁর কারাবাসের মেয়াদ শুরু হয়েছিল, সেদিন থেকে।
এই বরখাস্তের নোটিস তিনি ট্রাইব্যুনালে চ্যালেঞ্জ করেন। পরে আবেদনটি সংশোধন করে তিনি ১৯৭১ সালের সার্ভিস রুল বা বিধি অনুযায়ী অনুকম্পাজনিত ভাতা দেওয়ার আবেদন জমা দেন। যাতে পরিবার প্রতিপালনের পেনশন মেলে। কিন্তু, সেই আবেদনটি যথাযথ না হওয়ায় তাঁকে নতুন করে উপযুক্ত জায়গায় আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। সেই সূত্রে তিনি রাজ্য ইউথ সার্ভিসের অধিকর্তার কাছে ওই ভাতা পেতে আবেদন করেন। পরবর্তীকালে ট্রাইব্যুনাল থেকে ওই অধিকর্তাকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়। কিন্তু, অধিকর্তা জানান, আবেদনকারী তা পাওয়ার যোগ্য নন।
বিষয়টি ফের ট্রাইব্যুনালে যায়। কিন্তু, সেখানে উপযুক্ত বিচার না পাওয়ার দাবি নিয়ে তিনি হাইকোর্টে আসেন। বেঞ্চ সেই আবেদন সূত্রে রায়ে বলেছে, যে রুল অনুযায়ী তিনি আবেদন করেছিলেন, সেইমতো তিনি এমন ভাতা পাওয়ার যোগ্য নন। ফলে ওই অধিকর্তার সিদ্ধান্তে ভুল নেই। কারণ, অসদাচরণ, দেউলিয়া বা অযোগ্যতার জন্য বরখাস্ত হওয়া কাউকে পেনশন মঞ্জুর করা যায় না। অর্থাৎ, এভাবে কাউকে সরানো হলে অনুকম্পাজনিত ভাতা বিশেষ বিবেচনা সূত্রে মঞ্জুর হতে পারে। কিন্তু, তাঁকে উপরোক্ত কোনও কারণে বরখাস্ত করা হয়নি। ভারতীয় ফৌজদারি আইনের আওতায় তিনি দোষী সব্যস্ত হওয়ার কারণে তাঁর চাকরি যায়। এমন কারণে যিনি সাজা খেটেছেন, তিনি কিছুমাত্র অনুকম্পা পাওয়ার উপযুক্ত নন। বিশেষত তিনি যেখানে অন্যের জীবনের মূল্য দেননি।