প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
তাঁরা জানিয়েছেন, ঝলসা রোগ মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় যখন আপেক্ষিক আর্দ্রতা শতকরা ৯০ ভাগ, রাতের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তারও কম থাকে এবং ওই সময় যদি রোগ সহনশীল জাতের ধান জমিতে না থাকে, তখনই এই রোগের আক্রমণ দেখা যায়। সেইসঙ্গে তাড়াতাড়ি বিস্তার লাভ করে। ধানের পাতায় প্রথমে ছোট ছোট বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। ওই দাগগুলি ক্রমশঃ বড় হয়ে চোখের মতো বা মাকু আকৃতিক হয়, যার মাঝখানে ধূসর রঙের এবং দাগের ধার গাঢ় বাদামি রঙের হয়। অনেকগুলি দাগ একসঙ্গে মিশে গিয়ে বড় দাগে পরিণত হয়। এবং ধান গাছের পাতা লালচে বাদামি রং ধারণ করে। পরে পাতা শুকিয়ে যায়। ফুল আসার পরে শিসের নীচের গাঁটে এই রোগের আক্রমণ হলে ওই জায়গাটি কালো হয়ে পচে যায়। এবং আক্রান্ত শিসটি ভেঙে যায়। ফলে ধান চিটে হয়ে যায়। এছাড়া ধান গাছের গাঁটও আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত গাঁট কালো হয়ে পচে যায়। গাঁট ভেঙে যায়। ফলে ধান চিটে হয়ে যায়।
পাশকাঠি ছাড়া থেকে থোড় আসা পর্যন্ত ধান গাছে যদি শতকরা ২৫ ভাগ গুছিতে উপর দিক থেকে দ্বিতীয় পাতায় এই রোগের উপসর্গ দেখা যায়, তা হলে রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিতে হবে। বাদামি দাগ রোগ বা বাদামি চিটে রোগ ধানের চারায়, পাতায় এবং দানাতেও হতে পারে। রোগের আক্রমণ বেশি হলে ধান চিটে হয়ে যায়। রোগাক্রান্ত ধানের ভাত তেতো হয়ে যায়। রোয়ার পর থেকে ধানে থোড় আসা পর্যন্ত শতকরা পাঁচটি বা তার বেশি পাশকাঠি চিটে রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ঝলসা ও বাদামি দাগ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার জলে ট্রাইসাইক্লোজল ০.৫ গ্রাম বা আইসোপ্রোথিওলেন ১ মিলি বা কাসুগামাইসিন ২ মিলি বা এডিফেনফস ১ মিলি ওষুধ জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। খোলাপচা রোগ ধানে থোড় আসার সময় দেখা দেয়। শেষ পাতার খোলের উপর ধূসর রঙের বিভিন্ন আকৃতির দাগ দেখা যায়। দাগের চারদিকে বাদামি রঙের দাগ থাকে। রোগের আক্রমণ বেশি হলে অনেক সময় শিস আংশিক বের হয় কিংবা মোটেই বের হতে পারে না। ধান কালো ও চিটে হয়ে যায়। মাজরা ও টুংরো রোগে আক্রান্ত গাছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। প্রতিরোধী জাত ও কম নাইট্রোজেন সার ব্যবহার করতে হবে।
খোলাপচা রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার জলে প্রোপিকোনাজল ০.৭৫ মিলি বা ট্রাইসাইক্লোজল ০.৫ গ্রাম বা ভ্যালিডামাইসিন ২ মিলি বা কার্বেন্ডাজিম ১ গ্রাম বা পেনসাইকিউরন ১.৫ মিলি জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। ব্যাকটেরিয়া জনিত ধসা রোগ দেখা দিতে পারে বোরো ধানে। এই রোগের আক্রমণে ধান গাছের পাতার ডগার দিক থেকে কমলা রঙের হতে শুরু করে। কিনারা বরাবর নীচের দিকে নামে। শেষ পর্যন্ত পাতাটি শুকিয়ে খড় হয়ে যায়। চারা অবস্থা থেকে রোয়ার পর পর্যন্ত এই রোগের দ্বারা ধান গাছ আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ধান গাছের পাশকাঠি একদিক মেটে সবুজ রঙের হয়ে শুকিয়ে দড়ির মতো হয়ে যায়। একসময় পুরো গুছিটি মরে যায়। এই রোগ হলে ওষুধ প্রয়োগে তেমন কাজ হয় না। নাইট্রোজেন সার ধাপে ধাপে প্রয়োগ করতে হবে। জমির অতিরিক্ত জল বের করে দিতে হবে। সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স ব্যাকটেরিয়াল কালচার দ্বারা বীজ শোধন করা দরকার। ভুষো রোগে আক্রান্ত হতে পারে ধান।