প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
চাষি অজিত সরকার বলেন, এই রঙিন ফুলকপির বীজ স্পেনের। এই বীজ বেঙ্গালুরুর এক সংস্থার মারফৎ আমি নিয়ে এসেছি। এই কপির এক-একটি বীজের প্যাকেটের দাম ৬০০ টাকা। এক প্যাকেটে ৩০০ থেকে ৩৫০টি বীজ থাকে। এই ফুলকপির ৭০ দিনের মধ্যে ফলন হয়ে যায়। বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে এই ফুলকপি বিক্রি হয়। তবে স্থানীয় এই বাজারে যেহেতু এমন ফুলকপি এখনও ক্রেতাদের চোখে পড়েনি, সেকারণে প্রথমে হয়তো এর চাহিদা বা মূল্য তেমন পাওয়া যাবে না। কিন্তু শিলিগুড়ির বাজারগুলিতে এর ভালো দাম ভালো রয়েছে।
অজিতবাবু আরও বলেন, নতুন কিছু চাষ করার ইচ্ছে আমার প্রথম থেকেই। তিন রঙের এই ফুলকপি আমি প্রায় ১০০০টি করে চাষ করেছি। জানুয়ারিতে এর বীজ বপন করা হয়েছে। মার্চ মাসের শেষের দিকে এই ফুলকপি বাজারে বিক্রয়ের উপযোগী হয়ে উঠবে। আমি এই চাষে কোনও রাসায়ানিক সার প্রয়োগ করিনি। এমনকী কীটনাশকও ব্যবহার করিনি। সাধারণ ফুলকপির মতো এটারও একইভাবে চাষ হয়। তবে আমি জৈবসারের মাধ্যমে এর চাষ করেছি। পোকামাকড়ের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে ট্রাপ ব্যবহার করেছি। এর আগেও আমি চার রঙের গাজর চাষ করেছি। আমি যা জানি এই ফুলকপি অত্যধিক সুস্বাদু।
জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি আধিকারিক পাপিয়া ভট্টাচার্য বলেন, এই রঙিন ফুলকপি চাষ এদিকে প্রথম হচ্ছে। তবে বাজারে প্রথম অবস্থায় এর বাজার দর কৃষকরা কেমন পান তা দেখতে হবে। তবে এই ফুলকপি সাদা কপির থেকে অত্যধিক সুস্বাদু। এই ফুলকপি এখন বাজারের উঠলে আমার মনে হয় বিক্রি ভালো হবে। এবছর অল্প সংখ্যক চাষি এই চাষ করেছেন। তবে আগামীতে নিশ্চয়ই এই চাষে আরও চাষি এগিয়ে আসবেন। নিজস্ব চিত্র