কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
অন্যদিকে, রোগপোকার তেমন আক্রমণ না হলেও পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লক এলাকায় ডালশস্য চাষ করেছেন যেসব কৃষক, তাঁরা সেচের জলের সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে ছোলায় এখন ফুল আসতে শুরু করেছে। ফলে এখন অবশ্যই সেচের প্রয়োজন। কিন্তু জল মিলছে না। পাঞ্চেতে জলস্তর অনেকটা নেমে যাওয়ায় সমস্যা আরও বড় হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হয়েছে কৃষি দপ্তর। যেসব কৃষকের জমিতে সেচের সমস্যা সবচেয়ে বেশি, সেখানে স্প্রিঙ্কলার পদ্ধতিতে সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে, এখন থেকেই প্রি-খরিফ সব্জি চাষের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যানপালন আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে পলি টানেলে চারা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এতে শীতে চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হবে না, এমনটাই বলছেন উদ্যানপালনবিদরা।
মুর্শিদাবাদের রানিনগরের সহকারী কৃষি অধিকর্তা মিঠুন সাহা বলেছেন, যেসব কৃষকের মুসুরের জমিতে বাদামি মরচে রোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে অবিলম্বে সেচ বন্ধ রাখতে হবে। সেইসঙ্গে ক্লোরোফ্যালোনিল ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। অন্যদিকে, রসুনের জমিতে ছত্রাকের আক্রমণ রুখতে ট্রাইটক্সিস্ট্রবিন ও টেবুকোনাজল ৩ গ্রাম, ১০ লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। রসুনে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ রুখতে ৫ গ্রাম মাত্রায় ১০ লিটার জলে গুলে প্রয়োগ করতে হবে টেট্রাসাইক্লিন। অনেক কৃষক ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক একসঙ্গে প্রয়োগ করে থাকেন। কিন্তু, আমাদের সুপারিশ, তিনদিনের ব্যবধানে দিতে হবে। রসুনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছের পাতার উপরের দিকটা। এর পরই গাছ ঝিমিয়ে পড়ছে।
উত্তর ২৪ পরগনার উদ্যানপালন আধিকারিক শুভদীপ নাথ জানিয়েছেন, এইসময় কৃষকরা প্রাক-খরিফের সব্জি চাষের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কৃষক আগাম ভেন্ডি লাগাতে পারেন। তাহলে ফাল্গুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ফলন উঠবে। তখন ফসল বিক্রি করে কৃষক ভালো দাম পেতে পারেন। মূল জমিতে না বসিয়ে প্লাস্টিকের গ্লাসে জৈবসার দিয়ে উচ্ছে, করলা, ঝিঙে, গেমি কুমড়ো বীজ বোনা যেতে পারে। খোলা জমিতে বসালে শীতে চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হবে। সেকারণে প্লাস্টিকের গ্লাসে বীজ বুনে যদি স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, তাহলে সূর্যের আলো ভিতরে ঢুকবে। এবং তা আবদ্ধ থাকবে। এতে ভিতরে গরমভাব তৈরি হবে। তাতে চারার বৃদ্ধি ভালো হবে। মাঘের শেষ দিকে চারা বড় হয়ে গেলে তখন জমিতে মাদা করে নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা বসাতে হবে। অনেক জায়গায় শীতের প্রকোপে বোরো ধানের বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বীজতলা। সেখানে সময়ে ফলন পেতে এসআরআই পদ্ধতিতে ধান চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে ২০-২২দিনের চারা বেশি দূরত্বে একটি করে বসাতে হবে। আলুর ক্ষেত্রে এখনও তেমন সমস্যা দেখা দেয়নি। কিন্তু চাষিদের নিয়মিত জমি পরিদর্শন করতে বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গুরের সহকারি কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ চক্রবর্তী। সেক্ষেত্রে ধসা রোগ ঠেকাতে ছত্রাকনাশক হিসেবে কার্বেন্ডাজিম স্প্রে করা যেতে পারে। প্রি খরিফে তিলের প্রস্তুতিও শুরু করতে হবে এখন থেকেই। সেজন্য সার্টিফায়েড বীজ যাতে পাওয়া যায় চাষিদের তা সবচেয়ে আগে নিশ্চিত করতে হবে।