বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
শুধু অনুপবাবু নন, ধনেখালিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বিষাদের সুর। তন্তুবায় পরিবারে মহিলাদের সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে হয় কাজে। সংসারের কাজ সামলে সুতো জোগান দিতে হয় তাঁতে। দু’জন মিলে একটা শাড়ি তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় দেড় দিন। মজুরি মেলে ২০০ টাকা। ধনেখালিতে প্রায় ১০০০ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। সোসাইটির মাধ্যমে অনেকে তাঁত বুনে মজুরি পান। অনেকে আবার মহাজনের থেকে সুতো এনে শাড়ি বোনেন। মহাজনের কাছে নকশা অনুযায়ী শাড়ির মজুরি নির্ধারিত হয়। ভালো নকশার শাড়ি ২৮টি তৈরি করলে মজুরি মেলে নয় হাজার টাকা। দিনরাত পরিশ্রম করলে মাসে ২০টি শাড়ি তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া দোকান বা মহাজনের থেকে সুতো এনে তাকে তাতের জন্য তৈরি করতে হয়। প্রতি জোড়া শাড়ির জন্য এইরকম সুতো তৈরিতে খরচ প্রায় ৪০ টাকা।
স্থানীয় তাঁতিরা জানিয়েছেন, তাঁত নিয়ে সরকারি অনেক উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তেমন উপকার মেলেনি। সরকারের দেওয়া তাঁত ব্যবহার করতে পারি না। সরকার থেকে যে তাঁত দেওয়া হয়েছে, তা শান্তিপুরে ব্যবহারের উপযুক্ত। কিন্তু ধনেখালির শাড়ির জমি আরও ঘন আর মসৃণ। ফলে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে সরকারের দেওয়া তাঁত। সমবায়ের মাধ্যমে যাঁরা কাজ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরাই অগ্রাধিকার পান। আর তাঁত হাব এখনও রূপায়িত হয়নি। ধনেখালি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সৌমেন ঘোষ বলেন, ধনেখালির তাঁতকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আর তাঁত হাবের জন্য ধনেখালি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি জায়গা দেখা হয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত ধনেখালিতে তাঁত হাব তৈরি হয়ে যাবে। -নিজস্ব চিত্র