বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
আইটিসি লিমিটেডের সিএমডি সঞ্জীব পুরী বলেন, এই বাজেট বৃদ্ধির দিশা দেখাবে। শিল্পসংস্থাগুলিকে প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। যেভাবে পরিকাঠামো খাতে জোর দেওয়া হয়েছে, তা জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি জোরদার হবে। কৃষকের আয় বাড়বে। অন্যদিকে, অম্বুজা নেওটিয়ার চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়ার কথায়, এটি এমন একটি ভারসাম্যের বাজেট, যা কর-বান্ধব। আয়ত্তের মধ্যে বাড়ি বা অ্যাফোর্ডেবল হাউজিংয়ের উপর সরকার যেভাবে নজর দিয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অন্যদিকে বিলগ্নিকরণ, আবাসন এবং পরিকাঠামো নিয়ে সরকারের ঘোষণা আরও বেশি করে শিল্পমহলকে চাঙ্গা করবে। ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল বলেন, যেভাবে আর্থিক সংস্কারের পথে বারেবারে এগচ্ছে কেন্দ্র, যেভাবে ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহ দেওয়া সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সহজে শিল্প গড়তে সাহায্য করবে। বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, সরকার খরচ করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁদের আশা, এতে আর্থিক ঘাটতিতে লাগাম দেওয়া যাবে ধাপে ধাপে। যেভাবে পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, তা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। ছোট শিল্প বাড়বে। তাতে বাড়বে কর্মসংস্থানও।
বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত বণিকসভাগুলিও। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের কথায়, এটি ঐতিহাসিক বাজেট। মূলধনী ব্যয়, অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি খরচ বাড়ানো হয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ, যা অত্যন্ত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ঋষভ কোঠারি বলেন, গত এক বছর ধরে সরকার যে পদক্ষেপ করেছিল, তা আসলে ছিল জোগান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। এবার বাজেটে চাহিদা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হল। তাই এটি ভারসাম্যের বাজেট। সরকার যে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণের কথা ঘোষণা করেছে, তাও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। বণিকসভা অ্যাসোচেমের কথায়, কেন্দ্রের নীতি খুব স্পষ্ট। তারা পরিকাঠামোয় খরচ বাড়াতে চলেছে, যাতে আগামী অর্থবর্ষে দু’সংখ্যার বৃদ্ধির মুখ দেখা যায়। ভারত চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রমেশকুমার সারোগির বক্তব্য, বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই বাজেটে, যা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য। বাংলার রাস্তার জন্য যে প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে, তা সাধুবাদযোগ্য। তবে বেসরকারি শিল্পের জন্য কোনও উৎসাহমূলক ঘোষণা থাকলে ভালো হতো। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে সমৃদ্ধ করবে এই বাজেট, মত বেঙ্গল চেম্বারের। তাদের কথায়, আমদানি শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ একটি বড় সিদ্ধান্ত, তা দেশীয় সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করবে।