বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ঐতিহাসিক ব্যর্থতার ময়নাতদন্তে একটি কমিশন বসায় ইতালি ফেডারেশন। দুই সদস্যের কমিটিতে মানচিনির সঙ্গে ছিলেন আলেসান্দ্রো কোস্তাকুর্তা। যাবতীয় কাটাছেঁড়ার পর তাঁরা বুঝেছিলেন ঘরানা বদলের সময় এসেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কোস্তাকুর্তাই প্রথম মানচিনিকে আক্রমণাত্মক ফুটবল ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন। তা শুনে প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কোচ মানচিনি বলেছিলেন, ‘এমন পরামর্শেরই অপেক্ষায় ছিলাম আমি।’ এরপর মূলত কোস্তাকুর্তার সুপারিশেই মানচিনিকে ইতালির হেডকোচের দায়িত্ব তুলে দেয় ফেডারেশন।
বাকিটা ইতিহাস। এক বছরের মধ্যেই দলের ভোল বদলে দেন ইতালিয়ান কোচ। পাখির চোখ করেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপকে। ফুটবলারদের তাঁর স্বপ্নের কথাও সরাসরি ব্যক্ত করেন। তবে মানচিনির সেই পরিকল্পনা স্বপ্নবিলাস বলেই মনে হয়েছিল চিয়েলিনিদের। ওই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে ২০২০ ইউরোর ফাইনালের কথা ভাবতেই পারছিলেন না তাঁরা। তবে ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে বিশ্বাস জাগিয়ে তোলেন মানচিনি। এই প্রসঙ্গে চিয়েলিনি বলেন, ‘শুরুতে কোচ যখন ইউরো জয়ের কথা বলত, তখন তা পাগলের প্রলাপ মনে হত। তবে যত দিন গড়িয়েছে, টিম হিসেবে আমরা শক্তিশালী হয়েছি। নিজেদের উপর বিশ্বাস বেড়েছে। এখন আমরা ফাইনালে। খেতাব ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছি না।’
চলতি ইউরোর শুরু থেকেই ইতালিকে ফেভারিট ধরা হচ্ছে। জমাট রক্ষণের পাশাপাশি তাদের খেলায় ঝাঁঝালো আক্রমণও নজর কেড়েছে। বেলজিয়াম, স্পেনের মতো একের পর এক হেভিওয়েটদের বশ মানিয়ে এগিয়েছে আজ্জুরিদের স্বপ্নের দৌড়। এই প্রসঙ্গে ইতালির অধিনায়ক চিয়েলিনির মন্তব্য, ‘আর মাত্র একটি ম্যাচ। এখানে এসে খালি হাতে ফেরা যাবে না। ফাইনালে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে তৈরি আমরা।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ইতালির জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন চিয়েলিনি। কিন্তু ৩৬ বছরের তারকা ডিফেন্ডারটির ঝুলিতে কোনও ট্রফি ওঠেনি। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী আজ্জুরি স্কোয়াডে স্থান হয়নি তাঁর। সেই আক্ষেপ এবার ভুলতে মরিয়া তিনি। চিয়েলিনির কথায়, ‘এবারের ইউরো আমার কাছে খুবই আবেগপূর্ণ। আমি জানি, এই ফাইনালের গুরুত্ব ঠিক কতখানি। তাই খেতাবি লড়াইয়ের আগে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।’