বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
গোলরক্ষক: চলতি ইউরো কাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। চাপের মুখে দারুণভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে ২২ বছর বয়সি দুর্গপ্রহরীটির। সেমি-ফাইনালে টাই-ব্রেকারে তার প্রমাণ মিলেছে।
রক্ষণ: এবারের ইউরো কাপে অভিজ্ঞতার দিকে ইতালির দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জিওর্জিও চিয়েলিনি ও লিওনার্ডো বোনুচ্চির জুড়ি মেলা ভার। ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি দেশের জার্সিতে ওরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলছে। ইতালির হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। কর্নার কিংবা ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করার ক্ষেত্রেও সমান পারদর্শী। পাশাপাশি দুই উইং ব্যাকও ওদের সহযোগিতা করে থাকে। ওভারল্যাপে ওঠা থেকে শুরু করে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে চার ডিফেন্ডারের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ। কোয়ার্টার-ফাইনালে চোট পেয়ে স্পিনাজোলা ছিটকে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল, সমস্যায় পড়বে আজ্জুরিরা। তবে গত ম্যাচে ওর অভাব বুঝতে দেয়নি এমেরসন।
মাঝমাঠ: এই ইতালি দলের হৃদপিণ্ড মাঝমাঠ। যা পরিচালনা করে মার্কো ভেরাত্তি। হিমশীতল মস্তিষ্কের ফুটবলার। ওর সঙ্গে রয়েছে সদ্য চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা জর্জিনহো ও ইন্তার মিলানের নিকোলো বারেল্লা। এই তিনজনকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
ফরোয়ার্ড: অতীতে ইতালির আপফ্রন্ট আহামরি ছিল না। মূলত কাউন্টার-অ্যাটাক ফুটবলের মধ্যে দিয়েই ম্যাচে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে তারা। তবে এই দলটার রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণভাগেও সমান শক্তিশালী। ইম্মোবাইল, ইনসিগনে ও চিয়েসা নিয়মিত গোল করছে। পাশাপাশি পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেও স্কোরশিটে নাম তোলার ক্ষেত্রে সমান দক্ষতা রয়েছে বেরার্দি ও বেলোত্তির।
প্রত্যেক দলেরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। ইতালিও ব্যতিক্রম নয়। স্পেনের বিরুদ্ধে লিড নেওয়ার পর অহেতুক রক্ষণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এই কারণেই এনরিকে-ব্রিগেড ম্যাচে ফেরে। রবিবার ওয়েম্বলিতে দর্শকদের চাপ নিতে হবে ইতালিকে। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম ও ধারাবাহিকতার নিরিখে এই ইতালিকে বশ মানানো সহজ হবে না।