বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
আর সেখান থেকে ইতালি গোল তুলে আনছে বিশ্বফুটবলে সম্পূর্ণ ‘অদেখা’ স্পট-কিক নেওয়ার কৌশলে। ওয়েলসের বিরুদ্ধে পেসিনার সেই গোলটির কথাই ধরা যাক। ফ্রি-কিক নেওয়ার সময়ে বলের সামনে ছিলেন মার্কো ভেরাত্তি ও ফেডরিকো বার্নাডেস্কি। কিন্তু ওয়েলসের ফুটবলারদের তোলা মানব প্রাচীরের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইতালির তিনজন ফুটবলার। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন গ্যারেথ বেলরা। ফ্রি-কিক নিতে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে থমকে গিয়েছিলেন বার্নাডেস্কি। তখন ভেরাত্তির ভাসানো বলে ফ্লিক করে বল জালে জড়ান পেসিনা। কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে বারেল্লার গোলটি এক অভিনব পদ্ধতিতে পেয়েছিল ইতালি। বেলজিয়াম ডিফেন্সকে বিভ্রান্ত করে বল ভাসিয়েছিলেন ইনসিগনে। সেখান থেকে বল ধরে চমৎকার ব্যক্তিগত দক্ষতায় গোল করেছিলেন নিকোলা বারেল্লা। এই সবই শিখেছেন জিয়ান্নি ভায়ো। যিনি জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মী হিসেবে। ফুটবলের প্রতি ছিল তাঁর অনুরাগ। ফ্রি-কিক নেওয়ার কৌশল নিয়ে তাঁর লেখা ‘এক্সট্রা থার্টি পারসেন্ট’ বইটি সাম্প্রতি কোচদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইতালির চতুর্থ ডিভিসনের দল কুইন্টো ডি ট্রেভিসো থেকে তিনি ফ্রি-কিক কোচের কাজ শুরু করেন। এসি মিলান, লিডস ইউনাইটেডের মতো ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ওয়াল্টার জেঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত আমিরশাহির আল-আইন ক্লাবেও কাজ করেছেন।
মানচিনি জানেন ইউরো কাপের ম্যাচগুলিতে সেট পিস বড় ভূমিকা নেবে। তাই গত সেপ্টেম্বর থেকে মানচিনির আমন্ত্রণে তিনি ইতালি দলের ফ্রি-কিক বিশেযজ্ঞ হিসেবে দলের সঙ্গে আছেন। ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে তাঁর শেখানো পথেই ইতালি কি পাবে কাঙ্খিত গোল? সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে আজ্জুরি-ব্রিগেড।