শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শেফিল্ড: টানা চার ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে সর্বশেষ স্থানে থাকা শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারাল জুরগেন ক্লপের দল। সেই সুবাদে ২৬ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
একের পর এক হারের জেরে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিল লিভারপুল। রবিবার দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ছন্দে ফিরতে মরিয়া ছিল তারা। শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে কোচ ক্লপের ছেলেরা। প্রথমার্ধে খেলা হয়েছে মূলত শেফিল্ড গোলরক্ষক অ্যারন র্যামসডেলের সঙ্গে সালাহ-মানেদের। একাধিক দুরন্ত সেভ করে দলকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করেন র্যামসডেল। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। ৪৮ মিনিটে শেফিল্ডের রক্ষণ দূর্গ ভাঙেন কার্টিস জোন্স। লিভারপুল অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা ২০ বছর বয়সি এই ফুটবলার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের ক্রস থেকে দলকে এগিয়ে দেন (১-০)। ঝাঁপিয়েও তাঁর ডান পায়ের জোরালো শটের নাগাল পাননি র্যামসডেল। এর কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল শেফিল্ড। কিন্তু অলিভার ম্যাকবার্নের হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৬৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় লিভারপুল। রবার্তো ফারমিনোর ডান পায়ের শট শেফিল্ড স্টপার কিন ব্রায়ানের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায় (২-০)। এই গোলের নেপথ্য কারিগর হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইপিএল মিলিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন না ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফারমিনো। ম্যাচের ৮০ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল গোলে রাখতে পারেননি মহম্মদ সালাহ।
গত ১৭ জানুয়ারি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে গোলশূন্য খেলা শেষ করেছিল লিভারপুল। তারপর প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করেছেন কাবাক-ফিলিপসরা। শেফিল্ডের বিরুদ্ধে ক্লিনশিট রেখেই মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল। স্বাভাবিকভাবেই দলের খেলায় খুশি কোচ জুরগেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্তত তিনটি গোল করা উচিত ছিল। দু’টি গোল করতে পেরেছি। এর থেকে প্রমাণ হয়েছে, আমার ফুটবলাররা সুযোগ তৈরির পাশাপাশি তার যথার্থ সদ্ব্যবহারও করতে পারছে। তবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’