নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে হারের ব্যর্থতার প্রভাব দলের উপর পড়তে দিতে চান না সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। সোমবার দুপুরে তিনি ফুটবলারদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘২০ ম্যাচের ডাবল লেগের কথা ভুলে যাও।  প্লে-অফকে সম্পূর্ণ অন্য একটি প্রতিযোগিতা ধরে আগামী দিনে এগতে হবে। গত বছরও ডাবল লেগের শেষে আমরা দু’নম্বরে শেষ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন হতে অসুবিধা হয়নি।’ উল্লেখ্য, এদিন ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন মোহন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। 
রবিবার আঙুলের চোটের জন্য খেলতে পারেননি এটিকে মোহন বাগানের লেফট ব্যাক শুভাশিস বসু। তাঁর বুট পরতে অসুবিধা হচ্ছিল। তবে শনিবার (৬ মার্চ) নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রথম সেমি-ফাইনালে তিনি খেলতে পারবেন বলে কোচ হাবাসের ধারণা। সন্দেশ ঝিংগান ২২ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। ব্যথা নিরোধক ইঞ্জেকশন নিয়ে রবিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ১৯ মিনিট মাঠে ছিলেন সন্দেশ। শনিবার তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে তৈরি আছেন সালামরঞ্জন সিং। তবে তিরির পারফরম্যান্সের গ্রাফ পড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে এটিকে মোহন বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। গত দু’টি ম্যাচে তাঁর ভুলেই গোল হজম করতে হয়েছে। কিন্তু হাবাসের কাছে তিরির কোনও বিকল্প নেই। মাঝমাঠ আর আপফ্রন্টে দুই বা ততোধিক বিদেশি থাকলেও তিরি ছাড়া আর কোনও বিদেশি ডিফেন্ডারকে আইএসএলের জন্য সই করাননি হাবাস। সপ্তম বিদেশি হিসেবে জন জনসনকে রাখা হয়েছিল। তবে তিন মাসের চেষ্টাতেও তিনি ফিট হতে পারেননি। 
এদিকে, মুম্বইয়ের কোচ সের্গিও লোবেরা ম্যাচের পর জানিয়েছেন, ‘জিতেছি আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই। এটিকে মোহন বাগানকে হারাতে না পারলে ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে ৬-১ গোলে জয় মূল্যহীন হয়ে পড়ত। এটিকে মোহন বাগান ড্র হলেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পেত। আমাদের জয় ছাড়া কোনও গতি ছিল না। আর এটাই ছিল মুম্বই সিটি এফসি’র অ্যাডভান্টেজ। নক-আউট ম্যাচ খেলতে নামছি, এমন মনোভাব নিয়েই ছেলেরা খেলেছে।  শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করার ক্ষমতা এটিকে মোহন বাগানের মূলধন। তবে আমরাও তৈরি ছিলাম।  রয় কৃষ্ণা, মনবীর সিংদের রোখার ব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। তাই এই জয়। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এবার খেতাব জিততে চাই।’