পুল, হুকের পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে ডিফেন্সেও। চতুর্থ টেস্টের আগে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। নেটে পর পর ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে কোহলি, রাহানে, রোহিতরা। উল্টোদিক থেকে স্পিনার ও পেসারদের ডেলিভারি ধেয়ে আসছে স্পিনার ও পেসারদের কাছ থেকে।
জীবনের প্রথম দুই টেস্টে অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে গ্রেম সোয়ানকে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনারটির ধারণা, এর ফলে রবীন্দ্র জাদেজার টেস্ট দলে ফেরার পথ কঠিন হয়ে গেল।
বিজয় হাজারে ট্রফির পরের রাউন্ডে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই সোমবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে সান্ত্বনা জয় চেয়েছিলেন বাংলার সমর্থকরা।
টানা চার ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে সর্বশেষ স্থানে থাকা শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারাল জুরগেন ক্লপের দল।
রবিবার মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে হারের ব্যর্থতার প্রভাব দলের উপর পড়তে দিতে চান না সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
পেশাদার বক্সিংয়ে অভিনব লড়াইয়ের সামনে বিজেন্দর সিং। জাহাজের ডেকের উপরের ছাদে লড়বেন ভারতের এই তারকা বক্সার। আগামী ১৯ মার্চ তিনি সার্কিটে ফিরছেন।
পিচ নিয়ে কান্নাকাটি ও হাহাকার করা বন্ধ হোক। পিচ বিতর্কে সাফ জানালেন সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেট তারকা ভিভিয়ান রিচার্ডস। এ বিতর্কে তিনি ভারতের পাশেই দাঁড়ালেন। উল্লেখ্য,গত কয়েকদিন ধরে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পিচ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এই প্রথম সেই বিতর্কে মুখ খুললেন এই ক্যারিরিয়ান তারকা।
শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার গোয়ায় আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে ০-২ গোলে হেরে গেল হাবাসের দল। লিগ টেবিলে দু’নম্বর হওয়ায় ২০২২ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্নভঙ্গ এটিকে মোহন বাগানের। ২০ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল রয় কৃষ্ণাদের। সমান পয়েন্ট পেলেও ‘হেড টু হেড’ নিয়মে শীর্ষে শেষ করল মুম্বই। যার ফলে তারা এশিয়ার সেরা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। আইএসএলের দুই পর্বেই মুম্বইয়ের বাধা টপকাতে ব্যর্থ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
জমাট রক্ষণকে ভাঙতে আক্রমণে ফুটবলার বাড়াও। পেনিট্রেটিং জোনে ক্রমাগত বিব্রত করো প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। এই কৌশলেই এটিকে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই দু’গোল তুলে নেয় মুম্বই সিটি। ম্যাচের বয়স তখন সবে সাত মিনিট। বক্সের বাইরে জাহুর কোনাকুনি ফ্রি-কিক সবুজ-মেরুন স্টপার তিরি ফ্লাইট মিস করেন। পিছন থেকে এসে নিখুঁত হেডে বল দ্বিতীয় পোস্টের পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন দীর্ঘদেহী স্টপার মাতোরদা ফল (১-০)।
১৯ মিনিটে কুঁচকিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান এটিকে মোহন বাগানের স্টপার সন্দেশ ঝিংগান। বদলে নামেন প্রবীর দাস। লেফট ব্যাক থেকে প্রীতম কোটাল চলে আসেন স্টপারে। চোটের জন্য খেলেননি নিয়মিত লেফট ব্যাক শুভাশিস বসু। অ্যাটাকার মনবীর সিংকে রাইট ব্যাকে খেলান কোচ হাবাস। হয়তো তাঁর ডানপ্রান্তিক গতি ও কাট করার দক্ষতা কাজে লাগাতে। কিন্তু ডিফেন্সিভ থার্ডে ট্যাকল করতে গিয়ে টাইমিংয়ের ভুলে বারবার ফাউল করে বসেন প্রীতম-তিরিরা। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় মুম্বই। তাদের দু’টি গোলই বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি-কিকে। ৩৯ মিনিটে স্টপার হারনানের ফ্রি-কিক ক্রসপিসে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এলে ফিরতি বল হেডে গোলে পাঠান ওগবেচে (২-০)। এই মুম্বই স্কোরারকে সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডাররা মার্কিংই করলেন না।
৪ মিনিটে এটিকে মোহন বাগানের স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণার শট সেভ করেন অমরিন্দর সিং। তারপর জোনাল মার্কিংয়ে সেভাবে সবুজ-মেরুন অ্যাটাকারকে কার্যকরী হতে দেননি মুম্বই ডিফেন্ডাররা। পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁরা ডিফেন্স স্ট্রেচ করে মনবীর-উইলিয়ামসদের প্রান্তিক দৌড় থামিয়ে দেন। মাঝমাঠে আধিপত্য নিয়ে বিপক্ষ রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করেন জাহু-লে ফন্ড্রেরা। রক্ষণের দুর্বলতা ঢাকতে বারবার নীচে নেমে এলেন হাবাসের দলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কার্ল ম্যাকহ্যাগ। কোচ লোবেরা দলের দীর্ঘকায় ফুটবলারদের অ্যাটাকে তুলে দিয়ে তিরিদের চাপে রাখলেন। বিরতির আগে হারনানের দুরন্ত ব্যাকহিল অল্পের জন্য বাইরে যায়।
বিরতির পরও প্রতিপক্ষ রক্ষণে সেই চাপ অব্যাহত রাখে মুম্বই। দু’জন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার নিয়ে খেলায় মোহন বাগান মাঝমাঠে সেই অর্থে বল ফিড করার কেউ ছিলেন না। মার্সেলিনহো ছিলেন নিষ্প্রভ। ৬০ মিনিটে প্রবীর দাসের শট ক্রসপিসে ধাক্কা লাগে। চার মিনিট পরেই ডেভিড উইলিয়ামসের শট দুরন্ত সেভ করেন মুম্বই গোলরক্ষক। ম্যাচে মোট চার ফুটবলার পরিবর্তন করেও ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হাবাসের দল।
এটিকে মোহন বাগান: অরিন্দম ভট্টাচার্য, মনবীর সিং, সন্দেশ ঝিংগান (প্রবীর দাস), তিরি (সালামরঞ্জন সিং), প্রীতম কোটাল, লেনি রডরিগস (এডু গার্সিয়া), কার্ল ম্যাকহ্যাগ, প্রণয় হালদার, মার্সেলিনহো (জাভি), রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস।
