শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
বিনম্র টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি’কক ৯৪ রান যোগ করেন। ক্রিস গ্রিন, প্যাট কামিন্স, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করেন ডি’কক। তবে রোহিত এদিন কিছুটা স্বভাব বিরুদ্ধভাবে ধৈর্যশীল ব্যাটিং করেন। ৩৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হন মুম্বই অধিনায়ক। রোহিত ফিরে যাওয়ার পর সূর্যকুমারও (১০) দ্রুত ডাগআউটে ফেরেন। তবে হার্দিক পান্ডিয়া (১১ বলে অপরাজিত ২১) ও ডি’কক বাকি কাজটা অনায়াসেই সেরে ফেলেন।
এর আগে শুরুতেই ঝটকা খেয়েছিল নাইটদের ইনিংস। চরম হতাশ করেন প্রথম চার ব্যাটসম্যান গিল, ত্রিপাঠি, রানা ও কার্তিক। বড় রান পাননি রাসেলও। তবে ষষ্ঠ উইকেটে প্যাট কামিন্স (৩৬ বলে অপরাজিত ৫৩ রান) ও মরগ্যান (২৯ বলে অপরাজিত ৩৯ রান) ৮৭ রান যোগ করে দলের ইনিংসকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান। তাঁরা প্রতিরোধ গড়ে না তুললে নাইটদের ইনিংস আরও বিবর্ণ লাগত। মিডল অর্ডারের ধসের মুখে দৃঢ়তা দেখালেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এবারের আইপিএলের সবথেকে দামী ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স বল হাতে ব্যর্থ। কিন্তু সেই ব্যর্থতা শুক্রবার রাতে তিনি পুষিয়ে দিলেন প্রয়োজনের মুহূর্তে হাফ-সেঞ্চুরি করে।
পাওয়ার প্লে-র সুবিধা নিতে পারেনি কেকেআর। ওই পর্বে মাত্র ৩৩ রান সংগ্রহ করেছিল মরগ্যান বাহিনী। তারা হারিয়েছিল তিনটি উইকেট। মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে প্রথম ধাক্কাটি দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নাইটদের মারকুটে ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠিকে (৭)। রান পাননি নীতীশ রানাও (৫)। তবে এরপর আসল ধাক্কা দেন রাহুল চাহার। চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে এই স্পিনার পেয়েছেন দু’টি উইকেট। ছন্দে থাকা শুভমান গিলকে (২৩ বলে ২১ রান) ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি রাহুল প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন দীনেশ কার্তিককেও (৪)। তবে মুম্বইয়ের পেসারদের মধ্যে সেরা যশপ্রীত বুমরাহ। তিনি এদিন কলকাতার ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেঁধে রাখেন। চার ওভারে তিনি মাত্র ২২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন রাসেলের (১২) উইকেট।