দুবাই: আইপিএলের মঞ্চে ঘটছে গতির বিস্ফোরণ। সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যানরিখ নর্টজে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দ্রুতগতির বল করে তিনি ভেঙে দিলেন স্বদেশীয় জেল স্টেইনের রেকর্ড। ম্যাচ তখন গড়িয়েছে তৃতীয় ওভারে। ক্রিজে জস বাটলার। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে ঘণ্টায় ১৫৬.২২ কিমি গতিতে বল করেন নর্টজে। যা চমকে দিয়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকে। স্টেইন ঘণ্টায় ১৫৪.৪০ কিমি গতিতে বল করেছিলেন। সেটাই ছিল আইপিএলে দ্রুততম ডেলিভারি। সেটা টপকে গেলেন নর্টজে। যদিও সেই ডেলিভারি বাউন্ডারির বাইরে পাঠান বাটলার। পরের বলেই অবশ্য দিল্লির পেসারটি পাল্টা প্রত্যাঘাত হানেন। তুলে নেন বাটলারের উইকেট। ওই বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৫.১ কিমি। ম্যাচের পরে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে নর্টজে বলেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে রেকর্ডের কথা শুনলাম। আমি রোমাঞ্চিত। বলের গতি বাড়ানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করি। হাতের ও পায়ের পেশির শক্তি বেশি হলেই একজন পেসার দ্রুতগতিতে বল করতে সক্ষম হয়। আমি নিয়মিত পেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করি। শুধুমাত্র বলের গতি বাড়ালেই হবে না। ধারাবাহিকভাবে একজন বোলারকে লাইন ও লেন্থও বজায় রাখতে হবে।’
আইপিএলের এই মরশুমে খেলার কথাই ছিল না নর্টজের। ক্রিস ওকসের পরিবর্ত হিসেবে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে দলে নেয়। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারটি। রাবাডার সঙ্গে জুটি বেঁধে ইতিমধ্যেই ২৮টি উইকেট তুলে নিয়েছেন নর্টজে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বোলিংয়ের ফাঁকে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করি। প্রতিনিয়ত নিজেদের ভুলভ্রান্তি নিয়ে বিশ্লেষণ চলে। রাবাডা একজন দুর্দান্ত বোলার। বোলিংয়ের সূক্ষ্ম দিক নিয়ে ওর অনেক জ্ঞান রয়েছে। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের সুবাদে আমিও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। তাই দুজনে যখন কথা বলি বেশিরভাগ সময় বোলিং নিয়েই আলোচনা হয়।’