কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে সারা বাংলায় সবথেকে বড় খেপের আসর বসে। এই বছর আবার ১৫ আগস্ট পড়েছে শনিবার। পরদিন রবিবার। একদিন কিংবা দু’দিনের ফুটবল টুর্নামেন্টের আর্দশ পরিস্থিতি। এই সপ্তাহে তো বাম্পার সেল হওয়ার কথা! কিন্তু কোথায় কী? করোনার আবহে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে ময়দান মার্কেট। কানামামার মতো ভরসা ক্যারম বোর্ড বিক্রি। করোনার জেরে গৃহবন্দি মানুষের অনেকেই এখন পকেটে ঘুটি ফেলেই অবসর কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই প্রতিদিন ক্যারম বোর্ডের খোঁজে আসছেন একাধিক ক্রেতা।
করোনার পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন দেখা গেছে মার্কেটে ঢোকার ক্ষেত্রেও। থার্মাল চেকিং ও হাত স্যানিটাইজ করার পরেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার সবচেয়ে বড় স্পোর্টস গুডস মার্কেটে। ৩৩ বছর ধরে ক্রীড়া সরঞ্জামের দোকান চালাচ্ছেন অভিষেক স্পোর্টসের মালিক পল্লব পাল। বর্তমানে মেরেকেটে কয়েকশো টাকা বিক্রি হচ্ছে তাঁর। আইএফএ লিগের জন্য অধিকাংশ দল তাঁর দোকান থেকেই জার্সি কিনত। অথচ এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলছিলেন, ‘পরিস্থিতি সবার জন্যই এক। পেটের তাগিদেই দোকান খুলে রাখছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মত জমজমাট ব্যবসা হবে না। এটা আমরা সবাই মেনে নিয়েছি। সারাদিন দোকান খুলে রাখার খরচ কার্যত উঠছে না। কিন্তু কী আর করা যাবে? খেলা শুরুর ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। খেলার সরঞ্জাম ছেড়ে মানুষ এখন শরীরচর্চার বিভিন্ন জিনিসপত্র ও ক্যারম বোর্ড বেশি করে কিনছেন।’ একই সুর শোনা গেল জয়প্রকাশের মুখে। যিনি ১৩ বছর ধরে ব্যবসা করছেন এই মার্কেটে। তাঁর মন্তব্য, ‘লকডাউনে আউটডোর স্পোর্টস প্রায় বন্ধ। তাই ক্যারমের মত ইন্ডোর গেমসের চাহিদা বেড়েছে। আমাদের অবস্থা শোচনীয়।’
করোনা প্রভাব কাটিয়ে কবে খেলাধূলা শুরু হবে, সেদিকেই সাগ্রহে তাকিয়ে ময়দান মার্কেটের দোকানদাররা। তাঁদের আশা, মাঠে বল গড়ালে বা ব্যাটে বলের লড়াই শুরু হলেই পুনরায় জমজমাট হয়ে উঠবে ব্যবসা।