প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
নিজের দেশের জিমনাসিয়া ডেলা প্লাটা ক্লাবে এখন কোচের দায়িত্বে রয়েছেন মারাদোনা। করোনার জন্য আর্জেন্তিনাতে ফুটবল বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত ১৭ মার্চ। তারপর থেকেই কঠোরভাবে নিজেকে গৃহবন্দি রেখেছেন ছিয়াশির বিশ্বকাপের নায়ক। জিমনাসিয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট গ্র্যাবিয়েল ফেলেগ্রিনো ‘দ্য সানকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘৫৯ বছরের মারাদোনা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িতে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন তিনি। এমনিতে গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ এর মহাসংক্রমণের সময়ে মারাদোনা হাই রিস্ক জোনে রয়েছেন। কোনওভাবে করোনায় আক্রান্ত হলে মারাদোনার শারিরীক সঙ্কট ভীষণ বেড়ে যাবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি ঘরের মধ্যে গুটিয়ে রেখেছেন নিজেকে। যা খবর পেয়েছি, তাতে ভালোই আছেন বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র। চিকিৎসকরা নিয়মিত তাঁর শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষন করছেন।’
এদিকে, করোনার প্রকোপে ঘোর মন্দা দেখা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবল জগতে। মারাদোনার ক্লাব জিমনাসিয়া ডেলা প্লাটা ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের বেতন কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এই ব্যাপারে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থাতেই প্রতিক্রয়া দিতে গিয়ে মারাদোনা বলেছেন, ‘করোনার প্রকোপে পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর যে বেতন কাটছাঁট করার প্রস্তাব ভেবে দেখা যেতেই পারে। বেতন কমাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। তবে করোনার প্রকোপকে সামনে রেখে বিশ্বের বেশ কিছু ক্লাব ফুটবলারদের পেমেন্ট আত্মসাত করতে চাইছে। এটা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ক্লাব কর্তাদের সমস্যা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু তাই বলে মাসের শেষে বেতন না দেওয়ার প্রবনতা খুব খারাপ। ফুটবলাররা সকলেই পেশাদার। অনেক ফুটবলার রয়েছে যাদের উপার্জনে সংসার চলে। তাই কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী সংক্রমণকে সামনে রেখে ফুটবলারদের এ ভাবে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করা উচিত নয়।’