প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
প্রতিবারই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধেন যে এবার ট্রফির খরা কাটবে। কিন্তু অধরা মাধুরী স্পর্শে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বিরাট বাহিনী। অনেকেই এখন আরসিবি’কে নিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১২ বার আইপিএল হয়েছে। তিন তিনবার ফাইনালে উঠেও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দক্ষিণী দলটিকে। এই ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিপুল প্রত্যাশা আমাদের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেটাই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। তবে সমর্থকদের প্রত্যাশাকে আমি সম্মান করি। দলে একাধিক তারকা ক্রিকেটার রয়েছে। আমিও চেয়ে এসেছি আমার দল চ্যাম্পিয়ন হোক। এরকম একটা তারকাখচিত দলের ওপর সবার নজর তো থাকবেই। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে উঠে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরাটাই আসল চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেই চাপটা নিতে পারিনি। অথবা আমরা বেশকিছু ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিয়েছি। আমরা যদি সত্যিই খারাপ দল হতাম তাহলে কি তিনবার ফাইনালে উঠতে পারতাম? কিন্তু চাম্পিয়ন্স লাক বলে একটা কথা রয়েছে। যা আমাদের ক্ষেত্রে একবারও খাটেনি। তা না হলে আমাদের খেতাব জয়ের জন্য ১২ বছর ধরে অপেক্ষা করতে হতো না। এর জন্য আমারও খুব খারাপ লাগে। দলে এটা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। কোথায় কোথায় খামতি থেকে যাচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করে আমাদের নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে। আমি আশাবাদী, এবার যে দল আমরা তৈরি করেছি, তাতে ভালো পারফরম্যান্স আমরা মেলে ধরতে পারব।’
আরসিবি অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল জিততে না পারাটা তাঁর কাছে যে বড় ব্যর্থতা সেটাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। রাখঢাক না করেই তিনি বলেছেন, ‘কোন কিছুর জন্য পাগলের মতো পড়ে থাকলে সেটা পাওয়া যায় না। লক্ষ্য ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই ঘটছে। প্রত্যেক বছর আমরা বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামছি। ভাবছি এবার আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে আছড়ে পড়ছে আমাদের আশা আকাঙ্খা।’
কয়েকদিন আগেই ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনকে ভিডিও কনফারেন্সে এক সাক্ষাৎকার দেন ভারত অধিনায়ক কোহলি। সেখানে কেপি জানতে চান, আইপিএলে তাঁর সেরা ইনিংস কোনটা? জবাবে ‘ভিকে’ বলেন, ‘২০১৬ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৫০ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটা আজও তাঁর মনে পড়ে।’