প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
লকডাউনে কর্মহীন গৃহবন্দি গরিব মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বপ্না বর্মন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও জলপাইগুড়িতে নিজের প্রতিবেশী গ্রাম ও এলাকায় প্রায় ৫০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী অ্যাথলিটটি। তার মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু। দুঃসময়ে জনসেবায় এগিয়ে আসতে পেরে দারুণ আপ্লুত তিনি। স্বপ্না বলছেন, ‘আমার তো আর খুব বেশি সামর্থ্য নেই! যতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, চেষ্টা করেছি তার মধ্যেই অভাবি পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর। আর এটা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।’
দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে কলকাতার সাই কেন্দ্রও এখন বন্ধ। তাই জলপাইগুড়ি পাতকাটা কলোনীর ঘোষ পাড়ার বাড়িতেই রয়েছেন স্বপ্না। জনসেবার পাশাপাশি ঘরেই চলছে ফিটনেস ট্রেনিং। নতুন অজ্ঞিতা সম্পর্কে তিনি জানান, ‘অনেকদিন পর পরিবারের সঙ্গে একটানা এতদিন রয়েছি। বাড়ির বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছি। তারই মধ্যে যতটা সম্ভব শরীরচর্চা করা যায় করছি। ডায়েটিংও করছি। সামনের বছর ওলিম্পিকস রয়েছে। লকডাউনের জেরে প্র্যাকটিস ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরে সেটা পুষিয়ে নেব।’
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধের লক্ষ্যে দেশজুড়ে ঘোষিত হয়েছে লকডাউন। তবু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লকডাউন ভেঙে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বপ্না। খেদের সুরে বললেন, ‘অহেতুক বাড়ির বাইরে বিরিয়ে নিজের পাশাপাশি অন্যেরও বিপদ ডেকে আনছে লোকজন। এটা দুঃখজনক। প্রত্যেককে পরিস্থিতির গুরুত্বটা উপলব্ধি করতে হবে। তা নাহলে এই মারণ ব্যধিকে ঠেকানো যাবে না!’ তাই এই কঠিন সময়ে সবাইকে ঘরবন্দি থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সোনার মেয়ে স্বপ্না।