গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
১৯৯৯’এর ডিসেম্বরে এক শীতের সন্ধ্যায় আইএফএ দপ্তরে সই করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। সেবার ট্রায়ালে অ্যালেক্সকে পছন্দ হয়েছিল কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র না আসার জন্য শেষ পর্যন্ত ব্যারেটোকে সই করানো হয়। আইএফএ দপ্তরে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করাই তাঁকে পরবর্তীকালে উদ্দীপ্ত করেছে বলে জানিয়েছেন মোহন বাগানের ঘরের ছেলে।
একাধিক ডার্বিতে নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ব্যারেটোকে। কিন্তু তারমধ্যে সেরা কোনটি? ‘সবুজ তোতা’ বলছিলেন, ‘২০০৬-০৭ মরশুমের আই লিগের ফিরতি ম্যাচটি জীবনে কোনওদিন ভুলতে পারব না। কারণ, ওই ম্যাচে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার। মনে আছে, সেদিন ছিল ১লা বৈশাখ। ডার্বি থাকলেও তাই সকালে মোহন বাগান মাঠে গিয়েছিলাম। বছরের প্রথম দিন বড় ম্যাচ জেতার আব্দার করেছিল সমর্থকরা। যা আমার অনুভূতি ও উপলব্ধিকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। ম্যাচে এডমিলসনের গোলে ইস্ট বেঙ্গল লিড নেয়। যা শোধ করি আমি। পরে ডগলাসের গোলে মোহন বাগান মর্যাদার ম্যাচ জেতে। ফিফা প্রেসিডেন্টের সামনে সমর্থকদের আব্দার মেটাতে পারার জন্যই ওই ম্যাচের তাৎপর্য অন্যরকম।
এখন ডার্বি এলেই মন খারাপ হয়ে যায়। আমি এখন মুম্বইয়ে আছি এফএসডিএলের জুনিয়র প্রজেক্ট নিয়ে। ডিসেম্বরে শিলটন পালের বিয়েতে কলকাতায় গিয়েছিলাম। এছাড়া জানুয়ারির প্রথমে আসানসোলেও যেতে হয়েছিল। দেখলাম, দুই প্রধানের সমর্থকরাই কিছুটা হতাশ। শতবর্ষে ইস্ট বেঙ্গলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে লাল-হলুদ জনতার হাহাকারও চোখ এড়ায়নি। তবে এই ম্যাচ সম্পূর্ণ অন্যরকম। পূর্বাভাস করা বোকামো। ম্যাচের দিন স্নায়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ যে দলের থাকবে তারাই জিতবে। অনেকেই বলেন, আপনার কিংবা ডগলাসের মানের ফুটবলার এখন দুই প্রধানে নেই। এমনকী ডুডু কিংবা চিডির মতো গোলগেটারও আনতে পারে না কেউ। কথাটা মিথ্যে নয়। তাই সমর্থকদের ব্যথা আমাকেও নাড়া দেয়। আমার তো মনে হয়, ইদানীং ময়দানে ‘চরিত্র’ অনেক কমে গিয়েছে। মোহন বাগানের খেলায় তবুও কিছুটা পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছি। ইস্ট বেঙ্গল তো স্কোয়ার পাস-ব্যাক পাস খেলেই সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। বলতে দ্বিধা নেই, দুই প্রধানের ভারতীয় গ্রুপে বাইচুং-দীপেন্দুর মতো কোনও ফুটবলারকে চোখে পড়ছে না।
সাক্ষাৎকারে জয় চৌধুরি