কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
৩৩তম রাউন্ডের ম্যাচে যদি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি জিতে যায় তবে তারা আবার ইপিএলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করবে। তারপর বাকি থাকবে আর মাত্র পাঁচটি ম্যাচ। শুক্রবার রাতে ৯ মিনিটে শেন লংয়ের গোলে লিড নেয় সাদাম্পটন। বাঁ-দিকে অনেকখানি ওপেন স্পেস পেয়ে বাট্রান্ড ক্রস তোলেন পেনাল্টি বক্সের এরিয়াল বলে হেড দিয়ে পেনাল্টি বক্সের বল রাখেন হজবার্গ। সামনে উন্মুক্ত গোল পেয়ে শেন লংয়ের ফিনিশ করতে কোনও অসুবিধা হয়নি (০-১)। লিভারপুল রক্ষণের স্তম্ভ ভার্জিল ফন ডিককে শুরু থেকেই চাপে থাকতে হয়। কারণ সাদাম্পটন অবনমন বাঁচাতে মরিয়া ছিল। ড্রপ জোন থেকে মাত্র ৫ পয়েন্ট উপরে ছিল সাদাম্পটন। এই মরিয়া মনোভাবের প্রতিফলন ঘটে প্রারম্ভিক পর্বে সাদাম্পটনের খেলায়। ১৯ মিনিটে ফের গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় লিভারপুল। এক্ষেত্রে ভার্জিল ফন ডিক শেষ মুহূর্তে শেষমুহূর্তে ক্রসবারের উপর দিয়ে বল তুলে দলকে বিপদমুক্ত করেন। ৩৬ মিনিটে গোল শোধ করে লিভারপুল। এই গোলটির আগে তারা দু’প্রান্ত থেকে পর পর ক্রস তুলতে থাকে তৃতীয় ক্রস সেন্টারটি আলেকজান্ডার আর্নল্ড দ্বিতীয় পোস্টে ভাসিয়ে দেন। অরক্ষিত নবি কেইতা দ্রুত স্পটজাম্প নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন (১-১)। ৮০ মিনিটে একক প্রয়াসে একটি দুরন্ত গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন মহম্মদ সালাহ (২-১)। প্রতি আক্রমণ থেকে জর্ডন হেন্ডারসন বল বাড়ান মো সালাহকে। সেই বল ধরে একক প্রয়াসে দৌড় শুরু করে মো সালাহ। তাঁকে সাপোর্ট দিতে দৌড়চ্ছিলেন রবার্তো ফারমিনো। কিন্তু তাঁকে বল না দিয়ে মো সালাহ পেনাল্টি বক্সে ঢুকে জরানো শটে পোস্টের কোণে বল প্লেস করেন। অতঃপর ৮৬ মিনিটে জর্ডন হেন্ডারসন তৃতীয় গোলটি করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এক্ষেত্রে রবার্তো ফারমিনো গোলমুখে নিচু ক্রস দিলে সেই বল ফিনিশ করতে কোনও অসুবিধাই হয়নি হেন্ডারসনের (৩-১)।
ম্যাচের পর লিভারপুলের কোচ জুরগেন ক্লপ প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মো সালাহকে। এই মিশরীয় ফরোয়ার্ডের প্রশংসা করে ক্লপ বলেন, ‘প্রায় পঞ্চাশ গজ দৌড়ে অসামান্য ফিনিশ করেছে মো সালাহ। আমি কখনও ওর প্রতিভা সম্পর্কে সন্ধিহান ছিলাম না। ইতিমধ্যেই লিভারপুলের হয়েই সালাহ ৫০টি গোল করে ফেলল। মরশুমের অন্তিম পর্বে আমরা এখন ওর ধারাবাহিকতার ওপর নির্ভর করছি। নিজের ওপর চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস না থাকলে মো সালাহ তাঁর পাশে দৌড়ানো রবার্তো ফারমিনোকে বল না দিয়ে নিজে ফিনিশ করার সাহস দেখাত না। তবে এটা ঠিক, প্রথমার্ধে আমাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল এখন আমাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ৯০ পয়েন্টের বেশি তুলতেই হবে। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য চতুর্থ স্থান দখল করতে গেলে ৭৫ পয়েন্টই যথেষ্ট। আমি নবি কেইতাকে নিয়েও খুশি। ইপিএলে ও প্রথম গোল পেল।’