কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
(কোলাডো)
জয় চৌধুরি : দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাত মিনিটের একটা ঝড়। সেই ঝড়েই ইন্ডিয়ান অ্যারোজের তরুণ ব্রিগেডের মনঃসংযোগে ফাটল ধরল। ইস্ট বেঙ্গলের জয়সূচক গোলটি তখনই হয়। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে জবি জাস্টিন ডানদিক থেকে জুনিয়র বিশ্বকাপার বরিস সিংকে কাটিয়ে ছোট চিপ তোলেন। অ্যারোজের আরও দুই বিশ্বকাপার আনোয়ার ও জিতেন্দ্র সিং বলটি ক্লিয়ার করতে ঝাঁপান। আনোয়ারের পায়ে লেগে বলটি চলে যায় কোলাডোর কাছে। তাঁর জোরালো শট অ্যারোজ গোলরক্ষক প্রভসুখানকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায় (১-০)।
৪৬ মিনিটেই গোল পেতে পারত ইস্ট বেঙ্গল। জবি জাস্টিন ডান দিক থেকে ঢুকে ঠিকানা লেখা বল দিয়েছিলেন টনি ডোভালেকে। স্প্যানিশ মিডিওটির গোল করা উচিত ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে থিতু হওয়ার আগেই ওই আক্রমণেই এলোমেলো হয়ে যায় অ্যারোজ রক্ষণ। গোলের দু’মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল। চুলোভা ও জবি মারফত বল পেয়েছিলেন অরক্ষিত কমলপ্রীত সিং। তাঁর শট পোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সেই প্রাথমিক ঝটকা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ দিকে জবি-টনির বোঝাপড়ায় অ্যারোজ রক্ষণ দু’বার অনাবৃত হয়ে যায়। কিন্তু যোগ্য বিদেশি স্ট্রাইকারের অভাব বড় বেশি করে চোখে পড়ল। এই প্রেক্ষাপটে রবিবার শহরে ফিরছেন ইস্ট বেঙ্গলের স্ট্রাইকার এনরিকে। তিনি দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করার জন্য ছ’দিন সময় পাবেন। কষ্টার্জিত জয়ের পর টিম ম্যানেজমেন্ট এখন তাঁর দিকেই তাকিয়ে।
এই জয়ে আই লিগের খেতাবি দৌড়ের লড়াই এখনও লাল হলুদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। প্রয়োজন হোম ম্যাচে ফায়দা তোলার। লাল-হলুদের বাকি আটটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টিই যুবভারতীতে। মাত্র দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। এর মধ্যে রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ম্যাচটি নিঃসন্দেহে শক্ত। কিন্তু চেন্নাইয়ের তিনটি শক্ত অ্যাওয়ে ম্যাচ বাকি। স্যান্ড্রো-পেড্রোদের খেলতে হবে রিয়াল কাশ্মীর, নেরোকা ও চার্চিলের ডেরায় গিয়ে। চেন্নাই ও ইস্ট বেঙ্গল দু’দলেরই খেলা বাকি মোহন বাগানের বিরুদ্ধে। তাই আগামী দেড় মাস জমজমাট লড়াই আই লিগে।
শুক্রবার প্রিয় দলের খেলা দেখতে কুড়িয়ে বাড়িয়ে হাজার পাঁচেক দর্শক ছিল যুবভারতীতে। প্রথমার্ধে দলের ‘শ্রীহীন-যন্ত্রণাদায়ক’খেলা দেখতে হয় তাঁদের। প্রথম ৩০ মিনিট মাঠ জুড়ে শুধুই অ্যারোজ। জনি অ্যাকোস্টার ছেলের বয়স ১৪। জনি-পুত্রের থেকে মাত্র তিন বছরের বড় অ্যারোজের অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় টিম থেকে আসা রহিত দানু- বিক্রমপ্রতাপর সিংরা। জনি তাঁদের সঙ্গে গতিতে এঁটে উঠতে পারেননি। প্রথম ৩০ মিনিটে নিখুঁত অনুমান ক্ষমতায় বোরহা তিনবার দলের পতন রোধ করেন। আসলে তাঁর বড়সড় চেহারার কাছে আটকে যান রহিত দানু- বিক্রমপ্রতাপরা। সেই জন্যই বোরহা ম্যাচের সেরা হন। তবে দুই অর্ধে ভালো খেলা জবিও পেতে পারতেন এই পুরস্কার। অ্যারোজ মাঝমাঠে কোনও বিদেশি না থাকায় ইস্ট বেঙ্গলের কমলপ্রীত সিং অন্যদিনের তুলনায় ভালো খেলেছেন। লালডানমাওইয়া কিংবা তাঁর পরিবর্ত ব্র্যান্ডন কিছুই করতে পারেননি আশিস রাইয়ের দৃঢ়তায়। ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে অমরজিৎ সিং খেলতে দেননি টনি ডোভালেকে। ৩৪ মিনিট কাসিম আইদারার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ সাত মিনিটে অহেতুক দুটি হলুদ কার্ড দেখে মার্চিং অর্ডার পান লাল-হলুদের অনূর্ধ্ব-২২ লেফটব্যাক মনোজ মহম্মদ। তাঁর সাসপেনশনে বড় ম্যাচে দল সাজাতে বিপাকে পড়তে পারেন আলেজান্দ্রো।