বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
রোগী ও তাঁদের পরিজনরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে আউটডোর শুরু হলেও অনেক চিকিৎসক প্রায়ই দেড়-দু’ঘণ্টা দেরিতে আসেন। আবার বেলা ২টো বাজতে না বাজতেই তাঁরা ওয়ার্ডে ডিউটি আছে বলে বেরিয়ে যান। ফলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দেখাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। কারণ, প্রথম কাউন্টারে বিশাল লাইন ঠেলে জেনারেল ফিজিশিয়ান দেখার পর তিনি স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে রেফার করেন। তারপর স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে পৌঁছতে গিয়ে আউটডোরের সময় পেরিয়ে যায়। একদিকে প্রথম কাউন্টারে একজন মাত্র জেনারেল ফিজিশিয়ান থাকায় সমস্যা হয়। তারপর তিনি দেরি করে আসায় সমস্যায় পড়েন রোগীরা। আবার অনেক ডাক্তার এক সপ্তাহের ডিউটি দেড় দিনে করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। টানা ৩০-৩৫ঘণ্টা ডিউটি করতে গিয়ে তাঁরা আউটডোর বা ওয়ার্ডে রোগীদের সঠিক মনোযোগ দিতে পারেন না বলে অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২জন চিকিৎসকের মধ্যে ২২জন বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তার মধ্যে প্রসূতি চিকিৎসক ছ’জন এবং শিশু বিশেষজ্ঞ পাঁচজন। হাসপাতালে স্কিন ছাড়াও এই দু’টি বিভাগে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে এতজন চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও বছরে তিন হাজারের কম ডেলিভারি হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। এদিকে মহকুমা হাসপাতালে একজন মাত্র মেডিসিনের ডাক্তার থাকায় রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। ওই মেডিসিন চিকিৎসকের ডিউটি রয়েছে সোম, বুধ, শুক্র। বাকি দিনগুলিতে হাসপাতালে রোগীরা কার দায়িত্বে থাকবেন তা নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। একইসঙ্গে রোগীকল্যাণ সমিতি মিটিংয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডিউটি রোস্টার ও তাঁদের হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।