বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ভোটের আগে থেকেই ভগবানপুর বিধানসভার বরোজ, অর্জুননগর ও আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা উত্তপ্ত। ভোটের আগে অনেক তৃণমূল কর্মী বাড়িছাড়া ছিলেন। ২মে ফল ঘোষণার পর তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর গত ২জুলাই থেকে আবারও ওইসব এলাকায় বিজেপির হামলায় অনেক তৃণমূল কর্মীর ঘরবাড়ি লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে শনিবার বরোজ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুলদা গ্রামে ধিক্কার সমাবেশের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল।
এদিনের সভায় ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বহু তৃণমূল কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। সেই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেনবাবু। অন্যান্যদের মধ্যে জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা, প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, ব্লক সভাপতি শশাঙ্কশেখর জানা প্রমুখ ছিলেন। সেই সভা থেকেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি হুঙ্কার দেন সৌমেনবাবু। এলাকার দলীয় কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেন মন্ত্রী।
এদিনের সভায় সৌমেনবাবু বলেন, এই সন্ত্রাসের নায়ক পূর্ব মেদিনীপুরের সন্তান। আমাদের ঘর থেকে মান সম্মান, খ্যাতি ব্যাপ্তি, প্রচার সবটাই লাভ করেছেন। সাংসদ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অথবা এইচডিএ-র চেয়ারম্যান সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় হয়েছিলেন। আজকে সেই সৈনিক কোথায়? আপনারা সকলে তাঁকে নিয়ে খেউড় করছেন। আসলে জঞ্জালের জায়গায় জঞ্জালেই হয়। তিনি ভারতীয় জঞ্জাল পার্টিতে গিয়েছেন। এতে তৃণমূল কংগ্রেস আরও পরিচ্ছন্ন হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দল আরও সংগঠিত হয়েছে। অন্যায়ভাবে সন্ত্রাস করে নন্দীগ্রামে তিনি জিতেছেন। তারপর বিরোধী দলনেতা হয়ে ভগবানপুর বিধানসভার আড়গোয়াল, অর্জুননগর ও বরোজ এলাকায় লাগামহীন সন্ত্রাস করছেন। তাঁর মনে রাখা উচিত, ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। এখানকার মানুষের প্রতিবাদকে ভোট বাক্সে প্রতিফলন করতে দেননি। ভোট বাক্সে প্রতিফলন হলে অর্ধেন্দু মাইতি কয়েক হাজার ভোটে জয়ী হতেন।
সৌমেনবাবু আরও বলেন, ভগবানপুর বিধানসভায় এলাকায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ওরা নিয়ে এসেছিল। তৃণমূলকে উপেক্ষা করে এখান থেকে মানবাধিকার কমিশন চলে যেতে পেরেছে? তারা পারেনি। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে যেতে কমিশনকে বাধ্য করা হয়েছে। এই বর্বরোচিত সন্ত্রাস দেখে রাজ্যপাল কী বলবেন? এছবি তিনি চোখে দেখতে পান না? এই লাগামহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। আপনারা দলবদ্ধভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন। আমরা এখানকার মানুষের পাশে থেকে এই এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত করব।