বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এক সময় নিতুড়িয়া থানা এলাকার ভামুড়িয়া গ্রামের যুবক অনুপ মাঝি ওরফে লালার অঙ্গুলিহেলনে সাঁতুড়ি, নিতুড়িয়া এলাকায় চলত কয়লার রমরমা কারবার। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুট হতো বলে অভিযোগ। সেই অবৈধ কয়লা কারবারের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় টিম সিবিআই ও ইডি। অবৈধ কয়লা চালানোর অভিযোগে লালার বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়। বর্তমানে তার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পর রঘুনাথপুর এলাকায় অবৈধ কয়লা কারবারে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে। তবে কিছু অসাধু কয়লা কারবারি রাতের অন্ধকারে কয়লা উত্তোলন করে পাচার করতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিতে শুরু হয়েছে পুলিসি অভিযান। সাঁতুড়ি থানার পুলিস ওইদিন সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি সাঁতুড়ি থানার মুরুলিয়া গ্রামে। বাকি দু’জনের বাড়ি গড়শিকা এলাকায়। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি সাইকেল, দু’টি স্কুটার ও ১১ কুইন্টাল কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিতুড়িয়া থানার পুলিস জানিয়েছে, অবৈধ কয়লা পাচারের সময় পাঁচজন ধরা পড়েছে। তারা রঘুনাথপুর থানা এলাকারই বাসিন্দা। ধৃতরা স্কুটারে করে কয়লা নিয়ে যাচ্ছিল।
এছাড়া অটোতে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় চিড়কুণ্ডা থানা এলাকার একজনকে এবং সাইকেলে কয়লা পাচারের সময় নিতুড়িয়ার বড়তোড়িয়ার একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে ছ’কুইন্টাল কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রঘুনাথপুরের এসডিপিও দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়লা, বালির অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে পুলিস সর্বদা সক্রিয় রয়েছে। প্রতিটি থানায় অভিযান চলছে।