বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
রাজ্যে এখনও আত্মশাসন চলছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকটাই ছাড় দিয়েছে প্রশাসন। আর সেই সুযোগে করোনা স্বাস্থ্যবিধি উড়িয়ে বহু মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সিউড়ি শহরের টিন বাজারে সব্জি ও মাছ বিক্রেতা থেকে শুরু করে ক্রেতা অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই বললেই চলে। একই অবস্থা জেলার অন্য শহরগুলিতেও। এব্যাপারে প্রশাসন বারবার সতর্ক করলেও তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই পুলিসকে সক্রিয় হতে হয়েছে। মাঝে মধ্যেই জেলার বিভিন্ন বড় শহরগুলির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর, সাঁইথিয়া, ইলামবাজারে এমন অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড়শো জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সবাই জামিনে মুক্তি পেলেও তাদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান।
এ প্রসঙ্গে বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, আমরা সব সময় বলছি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখনও সর্তকতা অবলম্বন করে চলতে হবে। রাস্তায় বের হলে মাস্ক পরা আবশ্যক। তাঁরা যদি সতর্ক হন তাহলেই জেলা সুস্থ থাকবে।
এরই মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ঘণ্টায় জেলার রামপুরহাট ও বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে নতুন করে ন’জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। একসময় এই সংক্রমণ দৈনিক ৯০০ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত ২৪ঘণ্টায় জেলাজুড়ে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৬জন। তবে কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি। এই মুহূর্তে জেলায় মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭১জন। যার অধিকাংশের বাড়িতে চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ইতিমধ্যে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার বেশ কিছু ব্লকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার শূন্যয় পৌঁছেছে। ফলে মানুষ বেপরোয়া হলে সংক্রমণের হার ফের নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা।