বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বর্তমানে পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমজনতার হেঁশেলে। কিন্তু এতকিছুর পরও কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। তারই প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই বীরভূমজুড়ে পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।
এদিন জেলা সদর সিউড়িতে প্রধান বাস স্ট্যান্ডে স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় শহর তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন দলের পুরসভার নেতা-নেত্রীরা। একইভাবে সিউড়ি-২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর ও সাঁইথিয়া ব্লকের আহমদপুরে বিক্ষোভ দেখান বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি প্রতীকী গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাইয়ে দলের ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রের নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতীকী অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি দুবরাজপুর শহরে বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিক্ষোভ দেখান ওই পুরসভার প্রশাসনিকমণ্ডলীর সদস্যরা। এদিন রামপুরহাট শহর সহ মল্লারপুর, নলহাটি, মুরারইয়ের একাধিক জায়গায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভে শামিল হন। কয়েকটি জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল ও ছবিতে আগুন লাগানো হয়।
বোলপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শহর তৃণমূল কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব ও পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নানা রকম পোস্টার ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। নানুর বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি গোরুর গাড়ির উপর মোটরবাইক চাপিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন।
উল্লেখ্য, শনিবার বীরভূমে পেট্রলের দাম ছিল প্রতি লিটার ১০১টাকা ৩৭ পয়সা। আর ডিজেলের প্রতি লিটার ৯৩টাকা ৩১ পয়সা এবং রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৮৮৪টাকা। পেট্রপণ্যের আকাশ ছোঁয়া দামের জেরে কাঁচা সব্জি থেকে ফলমূল এমনকী, চাল, ডাল সব কিছুরই দাম বেড়েছে। তাই এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে পথে নামে তৃণমূল।