বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এখনও পেনশন না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মুক্তিপদ দলুই। কয়েক মাস আগে তাঁর হৃদরোগ হওয়ার এখন তাঁকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু চলতি মাসে পেনশন না মেলায় ওষুধ খাওয়া তো দূর অস্ত সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৭৬বছরের এই বৃদ্ধ। তিনি বিশ্বভারতীর পল্লি শিক্ষা ভবনে রান্নার কাজ করতেন। ২০০৫ সালে অবসর নেন। থাকেন সুরুল তাঁতিপুকুর এলাকায়। বর্তমানে তিনি বিশ্বভারতী থেকে মাসে ১৫ হাজার টাকা পেনশন পান। ছ’জনের পরিবারে ওই পেনশনই একমাত্র আয়। বড় ছেলে দিনমজুরের কাজ করলেও করোনার জন্য এখন বেকার। এই অবস্থায় দশ দিন ধরে পেনশন না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে মুক্তিপদবাবু জানান।
অধিকাংশ পেনশনারদের একই হাল। বর্তমানে বিশ্বভারতীতে ৬০০জন অধ্যাপক, নানা শ্রেণির সব মিলিয়ে ৭০০জন স্থায়ী কর্মী, ৩০০জন অস্থায়ী কর্মী ও ১৮০জন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। আর পেনশনভোগী রয়েছেন ১৮০০জন। এই বিশাল সংখ্যক মানুষ বেতন ও পেনশন না পেয়ে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। বিশ্বভারতীর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রতি মাসে এজন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। এ মাসে সেই টাকা মঞ্জুর হলেও করোনা পরিস্থিতিতে লোকবল কম থাকায় বেতন দিতে অসুবিধা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
শৈলেনবাবুর অভিযোগ, বর্তমান উপাচার্য পদে বসার পর থেকেই বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস করার লক্ষ্যে একের পর এক বেআইনি কাজ করছেন। কর্মী, অধ্যাপকদের ভয় দেখাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই শোকজ বা সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এভাবে তিনি ভয় ও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছেন। প্রকাশ্যে বলছেন পদপিষ্ট করবেন, বিশ্বভারতী বন্ধ করবেন। এসবই প্ররোচনার শামিল। স্পষ্টতই কর্মী-অধ্যাপকদের শায়েস্তা করতে করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করছেন। কর্মী-অধ্যাপকদের আর্থিকভাবে বিপন্ন করার প্রতিবাদে শনিবার শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য ও অন্যান্য আকিারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিশ্বভারতীতে যদি এমন অচলাবস্থা চলতে থাকে তাহলে আমরা ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পেনশন না পেয়ে না কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মুক্তিপদ দলুই।