বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ডিজেল, পেট্রল ও রান্নার গ্যাসের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে শনিবার কালনা মহকুমাজুড়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। পূর্বস্থলী-১ ব্লকেও একইরকম কর্মসূচি পালিত হয়। এদিন পূর্বস্থলীর হেমাতপুর ও কালনার বুলবুলিতলা বাজারে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। হাজির ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন বিকেলে নসরৎপুরের সমুদ্রগড় রেল বাজারে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান মন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যব্যাপী আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। মানুষের সমস্যার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা পথে নেমেছি। দাম না কমলে আগামীতে আরও বিক্ষোভ চলবে।
এদিন জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারি হালদার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। কালনা ধাত্রীগ্রামের একটি পেট্রল পাম্পে কালনা-১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি সৌরভ দেবনাথের নেতৃত্বে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি চলে। এছাড়াও এদিন মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে মন্তেশ্বর কুসুমগ্রাম বাসস্ট্যান্ড ও সাতগাছিয়া মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে হাজির ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু। কালনা বিধানসভা এলাকার বৈদ্যপুর মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে হাজির ছিলেন এলাকার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। এদিন মন্তেশ্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে নাম না করে মোদিকে কুসন্তান বলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
এদিন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস গাড়ি ছেড়ে বর্ধমান শহরের রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে প্রতিবাদ করেন। এদিন বর্ধমান পুরসভার সামনে রায়নার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়াও সাইকেল নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। পাশাপাশি তিনি মঙ্গলকোট, খণ্ডঘোষ, রায়না-১ ও ২ ব্লকে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন। বর্ধমান ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সভাপতি কাকলি তা রাস্তায় কাঠের উনুন জ্বালিয়ে চা করেন, সেই চা খেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক। মেমারি বিধানসভায় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রসুলপুর বাজারে, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে মেমারি বামুনপাড়া মোড়ে ও মেমারি-২ ব্লকের সাতগেছিয়ায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। রসুলপুর বাজারে কর্মসূচির সূচনা করেন বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। এদিন মেমারিতে দড়ি দিয়ে গাড়ি টেনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারি এদিন গোরুর গাড়ির উপর বাইক চাপিয়ে প্রতিবাদ করেন।
শিল্পাঞ্চলেও বেশ কিছু জায়গায় অভিনব কর্মসূচি পালিত হয়। শনিবার কুলটিতে পেট্রল পাম্পের সামনে ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসে উদ্যোগে ঘোড়ার গাড়ি এনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। উপস্থিত ছিলেন এডিডিএর ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ডুবুরডিহি চেকপোস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনব বিক্ষোভ হয়। কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ি থেকে ডুবুরডিহি চেকপোস্ট পর্যন্ত বাইক ঠেলে আনে তৃণমূল কর্মীরা। তারপর নিজেদের জামাকাপড়ে আগুন লাগিয়ে সেখানে রান্না করার প্রতীকী প্রতিবাদ করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মন্ত্রী থেকে জেলা সভাপতি সর্বস্তরের নেতারা। দুর্গাপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে পেট্রল পাম্পে মিষ্টি বিলি করে প্রতিবাদ জানানো হয়।
আসানসোল কর্পোরেশন মোড়ে জিটি রোডের উপর ধর্না অবস্থান শুরু করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। সেখানে হাজির হন পূর্তমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক মলয় ঘটক। বাঁশকোপ টোলপ্লাজার সামনে তৃণমূল বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানে অবস্থান বিক্ষোভ তৃণমূলের (উপরে)। দুর্গাপুরে বক্তব্য রাখছেন বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার (নীচে)। নিজস্ব চিত্র