শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গতবছর অক্টেবর মাসের শেষ দিকে বড়জাগুলি থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত রাস্তা ফোর লেনের করার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ১১১২কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬.৭২কিলোমিটার এই রাস্তার কাজ হবে বলে ঠিক হয়েছে। এব্যাপারে আগেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। তারপর নিয়ম মেনে একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই কাজের বরাতও দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা চওড়া হওয়ার কথা দীর্ঘদিনের। বেশ কয়েক বছর আগে সেই কাজও শুরু হয়। কিন্তু যে সংস্থা এই কাজ করছিল, তারা এই কাজ ছেড়ে দেয়। জমি অধিগ্রহণ নিয়েও ব্যাপক সমস্যা হয়। এনিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার প্রধান রাস্তা এটিই। এই রাস্তা ফোর লেন হলে বহ মানুষের উপকার হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়াই বছরে কাজ শেষ করার লক্ষমাত্রা নিয়ে এগনো হচ্ছিল। সেইমতো ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাস্তার কাজে হাত দেওয়ার জন্য এগিয়েছিল কাজের বরাত পাওয়া সংস্থাটি। কিন্তু তারপরই লকডাউনের জেরে সব কাজ ভেস্তে যায়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে কয়েকশো শ্রমিক যুক্ত থাকেন। তাঁদের একটা বড় অংশ ভিনরাজ্যের হয়। বেশিরভাগই আপাতত নিজেদের রাজ্যে ফিরেছেন। ফলে লকডাউন উঠলেও কত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।
এই কাজের প্রজেক্ট ডিরেক্টর(এনএইচ-৩৪) সৌতম পাল বলেন, কাজ সময়ে শেষ হবে না, আরও দু’-তিন মাস অতিরিক্ত লাগবেই। লকডাউন উঠে গেলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। এই ধরনের কাজে প্রচুর শ্রমিকের দরকার হয়। ভিন রাজ্যের অনেক শ্রমিক কাজ করেন। লকডাউন উঠে গেলে আস্তে আস্তে হলেও হয়তো শ্রমিক আমরা পেয়ে যাব। যারা কাজ করছে তাঁদের কাছে অত্যাধুনিক যন্ত্র আছে, ফলে আমরা আশা করছি খুব একটা সমস্যা হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্ছেদের কাজ জেলায় আর সামান্য বাকি ছিল। সেই কাজটাও দ্রুত শেষ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল। কিন্তু সেটাও আটকে গিয়েছে এই পরিস্থিতিতে। তবে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে এটাও বোঝা গেল জাতীয় সড়ক দ্রুত ভালো এবং সম্প্রসারণ করার প্রয়োজন রয়েছে। উত্তরবঙ্গে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবা, জরুরি পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে দিনের পর দিন। উল্লেখ্য, জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল। বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এদিকে রাস্তা সম্প্রসারণ হবে ধরে মেরামতির কাজও হচ্ছে না। ফলে বেহাল রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।