শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
ডেপুটি সুপার কুণাল দে বলেন, ওই মহিলার সংস্পর্শে আরও কতজন চিকিৎসক ও নার্স এসেছেন, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সবারই পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে, বর্ধমান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট গোডাউনপাড়ায় এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি মধ্যপ্রদেশ থেকে ফিরেছেন। সোমবার তাঁর রিপোর্ট এসেছে। গলসির শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিক্রমপুর গ্রামেও এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর বয়স ২৬ বছর। তিনি মুম্বই থেকে ফিরেছেন। তাঁরা ১৪ জন মিলে একসঙ্গে ট্রেনে ফিরেছেন। ভাতারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলের মালোচা গ্রামেও এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর বয়স ৪৯ বছর। তিনি চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন। বুধবার তাঁর নমুনা নেওয়া হয়। তিনি বাড়িতে ফিরে আলাদাই ছিলেন। রবিরার বিকেলে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই রাতে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এলাকাও সিল করা হয়। ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার কোনও উপসর্গই ছিল না।
সোমবার মেমারি-২ ব্লকের সাতগেছিয়া অঞ্চলের ঝিকড়া গ্রামে একজন এবং বড়পলাশন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়পলাশন গ্রামে একজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ঝিকড়ার আক্রান্ত শ্রমিকের বয়স ৪২ বছর। তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। বড়পলাশন গ্রামে আক্রান্ত যুবক মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। ওই যুবক বাড়ি ফিরে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে মিশেও ছিলেন। বর্ধমান সদর (দক্ষিণ) মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ বলেন, মেমারিতে ২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিন পূর্বস্থলী-১ ব্লকের মাগনপুরে এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি মহরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। জামালপুরের জৌগ্রামের উত্তরময়না গ্রামে যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি গুজরাত থেকে ফিরেছিলেন। রায়না-১ ব্লকের শ্যামসুন্দর অঞ্চলের মাদনাগড় এলাকায় দিল্লি থেকে ফেরা একজন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্লকের সেহারা অঞ্চলের খেমটা এলাকাতেও এক পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। রায়না-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শৈলেন্দ্রনাথ সাঁই বলেন, ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়ার পরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে।
এদিন পশ্চিম বর্ধমানে ছ’জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বেনাচিতির উত্তরপল্লির এক যুবককে এদিন করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি মুম্বইয়ে কর্মরত ছিলেন। প্রথমে মালদহ আসেন। তারপর বাবার সঙ্গে গাড়ি করে দুর্গাপুরে আসেন। দুর্গাপুর নিউটাউনশিপ থানার জেমুয়ার এক ন’বছরের বালিকার দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। সে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। ভিন রাজ্য থেকে রানিগঞ্জে আসা এক যুবকের এদিন করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে দুর্গাপুর করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পানাগড়ের ২৬ বছরের এক মুম্বই ফেরত যুবকের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকেও করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে, বারাবনির গৌরান্ডি হাটতলায় এদিন এক পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন বিএমওএইচ নাজনিন রেহেমান। ডেপুটি সিএমওএইচ কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, বেনাচিতি, জেমুয়া, পানাগড় ও রানিগঞ্জে একজন করে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের এক কর্মচারীও আক্রান্ত হয়েছেন।