শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম এলাকায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৪ মে এড়াল অঞ্চলের জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মা ও ছেলে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। তার দু’দিন পর উক্তা অঞ্চলের গঙ্গারামপুর গ্রামের এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর গত শনিবার অমরপুর অঞ্চলের বেলেমাঠ গ্রামের ঘরজামাই চেন্নাই ফেরত এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। ওই প্রৌঢ়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ভেদিয়া অঞ্চলের মালোচা গ্রামের আরএক পরিযায়ী শ্রমিক। ওই প্রৌঢ় দিনকয়েক আগেই চেন্নাই থেকে ফেরেন। রবিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে প্রত্যোককে দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যও পাঠানো হলেও গঙ্গারামপুরের ওই যুবককের কিডনির সমস্যাা থাকায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর, বেলেমাঠ ও মালোচা এই তিনটি গ্রামকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিকেও বাফার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক এলাকায় ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যেে অনেকেরই রিপোর্ট এবার এক এক করে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, পরিযায়ী শ্রমিকদের রিপোর্ট যত আসবে এলাকায় ততই বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে আউশগ্রাম এলাকার বেশকিছু জায়গায় ভিনরাজ্যত থেকে আসা শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রথমদিকে ভিনরাজ্যথ থেকে আসা প্রত্যেেককে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁদের বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন নমুনা সংগ্রহের পরই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দিনকয়েক পর রিপোর্ট আসার সময় অনেকেরই করোনা পজিটিভ দেখা যাচ্ছে। ওই সমস্ত ব্যোক্তিদের বাড়ি ফেরানোর সময় পরিবারের সকল সদস্যিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাই ভিনরাজ্যক কিংবা ভিনদেশ থেকে মানুষজনের আসার সংখ্যা যতই বাড়ছে, এলাকাবাসীর মধ্যে করোনার আতঙ্ক থাবা বসাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আউশগ্রাম-২ ব্লকের বিডিও সৃঞ্জনী শেখর বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষ অযথা যাতে আতঙ্কিত না হন তারজন্য পুলিস-প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে।