সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
সমবায় সমিতির সম্পাদক আব্দুল সেলিম বলেন, লোন নেওয়া চাষিদের জন্য ২০১৬ সালে ফসল বিমা যোজনার টাকা ক্লেম করা হয়েছিল। পরে ফসল বিমার জন্য ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়। ২০১৮ সালে ওই টাকা সমবায়ের ব্যাঙ্কের অ্যাকউন্টে জমা পড়ে। ব্যাঙ্ক চাষিদের বকেয়া লোন বাবদ ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা কেটে নেয়। বাকি টাকা সমিতির অ্যাকাউন্টে জমা আছে। নভেম্বরে অডিটের কাজ শেষ হবে। তারপর ওই টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। সমবায় দপ্তরে তালা লাগিয়ে চাষিরা সঠিক কাজ করেনি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
যদিও চাষিদের দাবি, অডিট করতে দু’বছর সময় লাগে না। ওই সমবায়ের এক সদস্য মুবারক শেখ বলেন, সমবায়ে চরম অনিয়ম চলছে। ওরা দু’বছর ধরে বিমার টাকার হিসেব দিচ্ছে না। ফসল বিমার টাকা অধিকাংশ চাষিদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। অফিসে জানতে গেলে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে ওই সমবায়ে গিয়েছিলাম। কাউকে না পেয়ে চাষিরা সকলে মিলে গেটে তালা দিয়ে দেয়। এরকম অনিয়মের তদন্ত চাই।
জানা গিয়েছে, ওই সমবায় সমিতি ১৯৬১ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে এই সমবায়ের সদস্য সংখ্যা ১৫৬৪ জন। চাষের জন্য কৃষি লোন দেওয়ার পাশাপাশি ২২টি সাবমার্সিবল পাম্পও আছে। সম্প্রতি ওই সমবায় ভূগর্ভস্থ পানীয় জল বিক্রি শুরু করেছে। বর্তমানে চারটি সাবমার্সিবল পাম্প বন্ধ আছে।
সমবায়ের ম্যানেজার সাইদুল মোল্লা বলেন, ২০১৬ সালে মোট ৩১৩ জন চাষি জমি বন্ধক রেখে লোন নিয়েছিলেন। সেই বছর ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বিমা যোজনার মাধ্যমে ওই লোন নেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে বিমা বাবদ ১ কোটি ৯২ লক্ষ মঞ্জুর হয়। ওই চাষিদের ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা লোন নেওয়া ছিল। সেই সঙ্গে সুদ ৪২ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা নভেম্বরে অডিট হওয়ার পর বাকিদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে।
এব্যাপারে কাটোয়ার এআরসিএস বিমলকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, খড়দত্তপাড়া কৃষি সমবায়ে তালা দেওয়ার বিষয়টি জানি। পরিচালন কমিটি আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।