সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এদিন মন্ত্রী বলেন, আমরা যারা নন্দীগ্রামে জমিরক্ষার আন্দোলনে ছিলাম, তারা ৭জানুয়ারি, ১৪মার্চ এবং ১০নভেম্বর, এই তিনটি দিন কালো পতাকা নিয়ে এবং ভূমিউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারকে সামনে রেখে সমবেত হব এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব। তাঁদের আত্মবলিদানের মধ্যে দিয়ে নন্দীগ্রামে ভিটামাটি, জমি সুরক্ষিত হয়েছে। ২০০৭সালে এই দিনে সকাল সাড়ে ১০টা, ১১টা নাগাদ এখানেই শ্যামলী মান্না, রেজাউল করিম শহিদ হয়েছিলেন। প্রচুর মানুষ আহত হয়েছিলেন। বেলার দিকে ১১জনকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল। তাঁদের নিখোঁজ বলা হতো। এখন তাঁদের মৃত বলা হচ্ছে।
এইদিনেই কল্পনা মুনিয়াল, যাদব পালদের গুলি করে তৎকালীন সিপিএমের সম্পদ তপন-শুকুররা এগরা দিয়ে নিয়ে গড়বেতা পালাচ্ছিল। এগরায় জনগণ তাদের ধরে ফেলে। তখন যাদের ১০-১২বছর বয়স ছিল, আজকে তারাই নতুন প্রজন্ম। তাদের অনেকেই ১২বছর আগের ইতিহাস জানে না। অতীত ইতিহাস আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। অতীত ভুলে গেলে চলবে না। অতীত ভুলে গেলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।
তিনি আরও বলেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে কোনওভাবে দ্বিতীয় স্বাধীনতার আন্দোলনের চেয়ে কম বলা যায় না। একদিন কিংবা দু’দিন নয়, এই আন্দোলন ২০০৯সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছিল। ৪১জন শহিদ হয়েছিলেন। বহু মহিলার সম্ভ্রম ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল। তিনবার ঘরছাড়া হতে হয়েছিল।
শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া ৩৬০টি মামলা আগেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। নন্দীগ্রাম ও খেজুরি থানা মিলিয়ে ২৫টি মামলা প্রত্যাহার করতে বাকি ছিল। তারমধ্যে পুজোর ছুটির আগে গত মাসে ১০টি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে ১৫টি মামলা। ক্যাবিনেটের নোট পেয়েছি। তাতে আমরা আশাবাদী, আরও ছ’টি মামলা প্রত্যাহার করতে পারব। বাকি ন’টির জন্য আইনি লড়াই লড়তে হবে। নিশ্চিন্ত থাকুন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাতে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার হয়ে যায়, সেজন্য আইনি লড়াই চলবে।
এদিন গোকুলনগরে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও বিধায়ক ফিরোজা বিবি ও রণজিৎ মণ্ডল, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শেখ সুপিয়ান, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের খান, নন্দ পাত্র, মেঘনাদ পাল, পীযূষ ভুঁইয়া, প্রণব মহাপাত্র, স্বদেশ দাস অধিকারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।