সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কঠিন লড়াইয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য খোদ দলনেত্রী শুভেন্দু আধিকারীকে মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিন জেলায় টানা প্রচারের ফাঁকে নিজের গড়ের প্রচারের খুঁটিনাটিও নজরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু, আগের মতো ভোট ঘোষণার পরদিন থেকে নিজের গড়ে টানা প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় পাননি তিনি। তিন জেলার ভোট শেষ হতেই নিজের জেলায় ভোট প্রচারে ঝাঁপান শুভেন্দুবাবু। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি কাঁথির প্রার্থী শিশির অধিকারীর প্রচার ও ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।
বয়সজনিত কারণে বাবার (শিশিরবাবু) কাঁধ থেকে ভোটের দায়িত্ব নিয়ে কিছুটা হলেও তাঁকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন শুভেন্দুবাবু। সেই কারণে, তীব্র গরমের মধ্যেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন গড়ে পাঁচটি থেকে ছ’টি সভা করে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ ও অপ্রচারের জবাব দিয়েছেন। রাতে দলের বুথস্তর ও ব্লকস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সব কিছুর খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ভোটের ব্লু প্রিন্টও তৈরি করেছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে আসায় সময় বাঁচানোর তাগিদে হেলিকপ্টারে ঘুরে জেলায় প্রচার সেরেছেন। বিধানসভা ভিত্তিক ভোটের লিডের টার্গেট দলের নেতাদের হাতে ধরিয়ে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ১ লক্ষ ভোটের লিড দেওয়ার অঙ্গীকার করে বাকিদের উৎসাহিত করেছেন। বিভিন্ন সভায় জেলার ঝাঁ চকচকে রাস্তা, পথবাতি, জলপ্রকল্প সহ নানা উন্নয়নের এক এক করে তালিকা তুলে ধরে বলেছেন, সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীচে দিব্যেন্দু অধিকারী। মাঝে উন্নয়নের গ্যারেন্টার আমি।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পর সাগরপাড়ের জেলায় বহু পট পরিবর্তন হলেও নিজের দলকে ক্রমশ মজবুত করেছেন শুভেন্দুবাবু। এক দশকের বেশি সময় ধরে জেলায় ৫২ থেকে ৫৬ শতাংশের মধ্যে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রেখে রাজনৈতিক মহলেও বিস্ময় তৈরি করেছেন। তাই এবারের ভোটে জয়ের ব্যবধানের পুরনো রেকর্ড ভাঙাই শুভেন্দুবাবুর মূল লক্ষ্য।