যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
সন্ধ্যার পর জংশন থেকে মহানন্দা সেতু পর্যন্ত হিলকার্ট রোড অপরিসর হয়ে ওঠে। রাস্তার উপর লাইন দিয়ে বাস দাঁড়িয়ে থাকায় বাইক, স্কুটার নিয়ে চলাচল ঝুঁকির হয়ে পড়ে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বাসগুলি যাত্রী ধরার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। তা চলে রাত দশ’টা পর্যন্ত। জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এভাবে রাস্তা দখল করে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড গজিয়ে ওঠায় জনমানসে ক্ষোভ বাড়ছে। তাই দূরপাল্লার এই বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড জংশন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে।
জংশন থেকে সব দূরপাল্লার বাস শিলিগুড়ি শহরে ঢুকে নৌকাঘাট দিয়ে যায়। তাই দাবি উঠেছে, তিনবাত্তি মোড়ের কাছে নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ডে এই বাসগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তিনবাত্তি বাসস্ট্যান্ড থেকে নৌকাঘাট অনেকটাই কাছে। এই নতুন বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় রুটে হাতেগোনা কয়েকটি সরকারি বাস চলে। অতীতে একাধিকবার জংশন থেকে এই বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই বাসস্ট্যান্ড জংশনে থেকে গিয়েছে। কাজেই, তিনবাত্তিতে নতুন বাসস্ট্যান্ডে এই বাসগুলি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব গুরত্ব পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে নাগরিকদের।
জংশন এলাকার এই যানজট সমস্যা প্রশাসনের নজরে রয়েছে। কিন্তু, তার পরেও কেন রাস্তার উপরে গজিয়ে ওঠা বাসস্ট্যান্ড সরানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, জংশন থেকে সব দূরপাল্লার বাস পরিবহণ নগরীতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে রয়েছে। পরিবহণ নগরীতে বাসস্ট্যান্ড হলে জংশন থেকে দূরপাল্লার কোনও বাস ছড়াতে দেওয়া হবে না। পরিবহণ নগরীতে ওই বাসস্ট্যান্ড না হওয়া পর্যন্ত তিনবাত্তি মোড়ের নতুন বাসস্ট্যান্ড ব্যবহারের প্রস্তাব ভেবে দেখা হবে।