পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
শহরবাসীর অভিযোগ, বর্ষায় শহরের জমা জল নদীতে ফেলতে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পুরবোর্ড এবারও পুরনো সেই পাম্পসেটের উপর নির্ভর করছে। কারণ, ওইসব পাম্পসেট দেড় থেকে দু’ঘণ্টা চলার পর বন্ধ করে দিতে হয়। শহরের জমা জলের দুর্ভোগ থেকে মানুষকে রেহাই দিতে পুরসভা নতুন পাম্পও কিনতে পারেনি। ফলে এবারও বর্ষায় তাঁদের জলবন্দি অবস্থায় কাটাতে হবে। পুরসভার অবশ্য সাফাই, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার শহরকে তিনদিক থেকে ঘিরে রয়েছে কালজানি, ডিমা ও নোনাই নদী। এলাকার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, আলিপুরদুয়ার শহরে নিকাশি নালা ঢেলে সাজতে ওই তিন নদীর ঢাল দেখে সার্ভে করা প্রয়োজন ছিল। সেই সমীক্ষার পর উন্নত নিকাশি গড়তে মাস্টারপ্ল্যান করা উচিত। কিন্তু, আলিপুরদুয়ার পুরসভার অতীতের কোনও বোর্ডই সেই সদিচ্ছা দেখায়নি। তাই দুর্ভোগ বাড়ছে। পুরসভায় কংগ্রেসের একমাত্র কাউন্সিলার শান্তনু দেবনাথ বলেন, বর্তমান পুরবোর্ডও শহরের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না। এবারও শহরের জমা জল নদীতে ফেলতে তৃণমূল বোর্ড মান্ধাতার আমলের পাম্পসেট ব্যবহার করে শুধু টাকা অপচয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাম্পসেট নয়, আমরা চাই, শহরের জল নিষ্কাশনের জন্য পুরসভা মাস্টারপ্ল্যান করুক।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ করের অবশ্য সাফাই, পুরসভার অর্থের অভাব আছে, তাই পুরনো পাম্পসেট দিয়েই এবার শহরের জমা জল নদীতে ফেলতে হবে।
প্রসঙ্গত, শহরকে ঘিরে রাখা তিনটি নদীর মধ্যে শহর থেকে কালজানি নদীবক্ষ উঁচুতে। আর শহর সংলগ্ন কালজানি নদীবাঁধেই রয়েছে ১৪টি স্লুইস গেট। নদীবক্ষ উঁচু হওয়ায় বর্ষার সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের জমা জল নিকাশি নালা হয়ে স্লুইস গেট দিয়ে কালজানিতে পড়তে পারে না। তাই নদীর জল বেড়ে গেলে সেচদপ্তর বাধ্য হয়ে স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দেয়। যতদিন নদীর জল না নামে, ততদিন স্লুইস গেট খোলার কোনও উপায় নেই। তখন নাগরিকদের টানা কয়েকদিন ধরে জলবন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়। নাগরিকদের অভিযোগ, শহরের জলাভূমিগুলি ভরাট হওয়ায় আরও বিপত্তি দেখা দিয়েছে।
পুরসভার ৫ নম্বর, ৮-১৬ নম্বর ও ১৮ নম্বর, এই ১১টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার পরিকল্পনা না থাকায় এবারও বর্ষায় তাঁদের জলবন্দি হওয়ার দুর্ভোগ পোহাতে হবে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, পুরসভার পরিকল্পনার অভাবে প্রতিবছর বর্ষায় জলবন্দি হওয়াই আমাদের ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।