বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দলের সহ সভাপতি বুধারু রায় বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রকৃত ভূমিপুত্রদের ভাবাবেগকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। তাই তাদের এই ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেয় তার জন্য আমরা কামতাপুরি তথা রাজবংশী মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী সমাজের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করার জন্যই আমরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছি। অতুল রায় রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির সহ সভাপতি হয়েছিলেন। বুধারুবাবু আরও বলেন, যদি আলাদা রাজ্যের দাবি ওঠে তাহলে সেটা কামতাপুর রাজ্য গঠনের জন্যই করতে হবে। কেননা আমরাই প্রথম এই দাবিতে অন্দোলনে নেমেছিলাম। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী শহিদ হয়েছেন। কিন্তু বিজেপি কোনওদিন আলাদা রাজ্য করবে না। কেননা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়িতে এসে এখন পর্যন্ত যত প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন তার একটাও বাস্তবায়িত হয়নি। বিজেপি এতদিন কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকেও উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন করেনি। রাজ্য গঠনের দাবির ক্ষেত্রেও তাই হবে। তাই আমরা রাজবংশী মানুষকে বোঝাচ্ছি কেউ যাতে কোনওভাবে বিজেপির এই ফাঁদে পা না দেন।
কেপিপি ভাগ হয়ে যাওয়ার পর অতুল রায় এই দল গড়ে কামতাপুর ভাষা ও রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্যে তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসে রাজবংশী সম্প্রদায়ের উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। সেইমতো তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে কামতাপুর ভাষা অ্যাকাডেমির সহ সভাপতির পদ গ্রহণ করেছিলেন। সম্প্রতি করোনা সংক্রামিত হয়ে অতুলবাবুর মৃত্যু হয়। তার পরপরই বিজেপি সাংসদ জন বারলা সহ আরও কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদ উত্তরবঙ্গকে নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন। তার রেশ ধরে মূল কেপিপি’র নেতা নিখিল রায়ও আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছেন। এছাড়া কেএলও নেতা জীবন সিংহও নানা ধরনের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা দিতে শুরু করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে অতুল রায়ের অবর্তমানে তাঁর হাতে গড়া কেপিপি বা কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। অনেকেই মনে করেন, পৃথক রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে রাজবংশী সম্প্রদায়ের সিংহভাগ মানুষ নিখিল রায় গোষ্ঠীতেই যোগ দেবেন।
কিন্তু স্বামীর মৃত্যুতে তাঁর তৈরি দলের হাল ধরেছেন স্ত্রী মেনকা রায়। সম্প্রতি ময়নাগুড়িতে উত্তরবঙ্গ ও অসমের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাতে সভাপতি হয়েছেন মেনকা রায়। সহ সভাপতি বুধারু রায়। প্রয়াত অতুল রায়ের পূত্র অনিত রায়ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন।