বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দীপ্তবাবুর এই হুমকির কথা ছড়িয়ে পড়তেই জেলায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। জেলা বিজেপির অভিযোগ, আসলে কোচবিহারের দলীয় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও আলিপুরদুয়ারের দলীয় সাংসদ জন বারলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়াতেই দুই জেলায় চাপে পড়ে তৃণমূল আবোল তাবোল বকছে।
বাংলা ভাগের দাবি তোলার জন্য মন্ত্রী জন বারলা সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন। বঙ্গভঙ্গের জিগির তোলার জন্য যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে জন বারলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যেই এফআইআর করা হয়েছে। বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড এখন কার্যত কোণঠাসা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ভাগ চায় না। কিন্তু তারপরেও বেলাগাম জন বারলা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে ফের তিনি বাংলা ভাগের পক্ষে সরব হয়েছেন।
এদিন দলীয় অবস্থান কর্মসূচির মঞ্চ থেকে দীপ্তবাবু বলেন, বাংলা ভাগের দাবি তোলার জন্য জন বারলাকে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক আওয়াজ দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। জেলার যেখানেই তিনি যাবেন সেখানেই জন বারলাকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। দলের জেলা সভাপতির উপস্থিতিতেই তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি এই হুমকি দিয়েছেন।
তাঁর এই হুমকির পিছনে দলের অনুমোদন আছে কি না এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে দীপ্তবাবু বলেন, আমরা জেলাজুড়েই খবর নেব বিজেপি এমপি জেলার কোথায় কোথায় যাচ্ছেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের কর্মীরা কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান তুলে তাঁকে ধিক্কার বিক্ষোভ দেখাবে।
দীপ্তবাবুর এই হুমকি বক্তব্যে দলের অনুমোদন আছে কি না এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুলবাবু বলেন, দীপ্তবাবু ঠিক কী বলেছেন তা খেয়াল করিনি। তবে বাংলা ভাগের জিগির তুলে জন বারলা যেভাবে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছেন সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে দীপ্তবাবুর মধ্যে। তারপরেও জন বারলাকে শাস্তি না দিয়ে মন্ত্রী করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আমি টাউন ব্লক সভাপতির সঙ্গে কথা বলব তিনি ঠিক কী বলেছেন। এবিষয়ে জানতে মন্ত্রী জন বারলাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে জন বারলা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ১৫ আগস্টের পর জেলায় ফিরবেন। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা আহ্বায়ক ভূষণ মোদক অবশ্য বলেন, দলীয় এমপি নিশীথ প্রামাণিক ও জন বারলা কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ায় চাপে পড়ে তৃণমূলের নেতারা এখন আবোল তাবোল বকছেন।