বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি বাবদ এখন টাকার যে পরিমাণটি বেঁচে যাচ্ছে আগামী জুন মাসে যখন মজুরির টাকা দেওয়া হবে তখন তার পরিমাণ আরও বাড়বে। কারণ কিছু অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন তাঁদের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। জুনের পর থেকে তাঁদের মজুরিটা কম লাগবে। প্রজেক্টের কাজে সাময়িক ভাবে কিছু নিয়োগ হয়েছিল। জুনের পর থেকে সেটাও আর লাগবে না। সেই টাকাও বেঁচে যাবে। ফলে এখন মাসে যে পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা বেঁচে যাচ্ছে সেটির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। সেই হিসেবে পুরসভার বছরে এক কোটিরও বেশি টাকা বাঁচবে। আমরা পুরসভায় সিনিয়ারিটির ভিত্তিতে স্ল্যাব করে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার বিষয়েও উদ্যোগ নিচ্ছি।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি দেওয়ার পর দীর্ঘ পাঁচ মাস তাঁরা মজুরির টাকা পাননি। অর্থাৎ মে মাস পর্যন্ত তাঁদের মজুরি বকেয়া পড়ে যায়। এরই মধ্যে কোচবিহার পুরসভায় প্রশাসকের দায়িত্ব নেন মহকুমা শাসক। দীর্ঘদিন থেকেই অভিযোগ ছিল যে, পুরসভায় যদি এত অস্থায়ী কর্মী থাকে তাহলে পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে এতে গাফিলতি কেন? সমস্ত অস্থায়ী কর্মীরা কি সঠিক ভাবে কাজ করছেন? যদি করেন, তাহলে তো পুরসভা ঝকঝকে অবস্থায় থাকা কথা। সেই প্রশ্ন থেকেই খোঁজ শুরু হয় যে সকলে প্রকৃতই কাজ করছেন কি না। আর এই খোঁজ শুরু হতেই দেখা যায় অনেকের খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না।
পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোচবিহার পুরসভায় ৬৪২ জন অস্থায়ী কর্মীকে মজুরি দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য খরচ হয়েছিল ৩৪ লক্ষ ২০ হাজারের কিছু বেশি টাকা। এরপর পাঁচ মাস বাদে গত জুন মাসে ২০২১ সালের জানুয়ারির যে বকেয়া মজুরি প্রদান করা হয়েছে তার পুরসভার খরচ হয়েছে ২৯ হাজার লক্ষ ১৩ হাজারের কিছু বেশি টাকা। অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ টাকা কম লেগেছে। এই পাঁচ লক্ষ টাকাই বিগত দিনে প্রতি মাসে কার্যত জলে গিয়েছে।