বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, একথা অনস্বীকার্য যে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। মালদহে নিজস্ব সাইবার ক্রাইম পুলিস স্টেশন রয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রতিটি থানায় এই ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় দক্ষ বেশ কয়েকজন আধিকারিক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সব থানার বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের এই সাইবার অপরাধ দমন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ২০ জন পুলিস আধিকারিককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী দফায় আরও বেশ কয়েকজন আধিকারিককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি মালদহে বেশকিছু অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কাছ থেকে কৌশলে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার অপরাধী চক্র। পরে প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মুহূর্তে ফাঁকা করে দিচ্ছে তারা।
ইংলিশবাজারের একটি প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলেন, প্রতি মাসেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির শিকার হয়ে একাধিক অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়ছে। আমরা গ্রাহকদের পইপই করে সতর্ক করে দিচ্ছি কোনওভাবেই আপনার লেনদেন বা অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও তথ্য মোবাইলে বা কম্পিউটারে কাউকে দেবেন না। ব্যাঙ্ক কখনও এই ধরনের তথ্য চায় না। অনেকেই বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় তারপরেও এই ধরনের সাইবার প্রতারণা একেবারে বন্ধ করা যাচ্ছে না।
শুধু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতিই নয়, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইলিং করে অর্থ আদায় সহ অন্যান্য অপরাধের ঘটনাও ঘটাচ্ছে। মালদহেই অতি সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মেয়েদের ভুয়ো প্রোফাইল ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মতো অপরাধও ঘটেছে। এছাড়াও সাইবার অপরাধীরা ডার্ক ওয়েবের ব্যবহার করে প্রচুর বেআইনি অর্থ লেনদেন এমনকী মাদক বা অন্যান্য অবৈধ ব্যবসাও ফেঁদে বসছে। এই সব অপরাধ আটকাতেই পুলিসের এই বিশেষ প্রশিক্ষণ বলে জানা গিয়েছে।
জেলার এক পদস্থ পুলিস আধিকারিক বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের মাত্রা ও চরিত্র বদল হয়েছে দ্রুত। বিশেষ করে প্রায় হাতে হাতে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার, অনলাইনে খাবার থেকে ব্যাঙ্কের লেনদেন সেরে ফেলার অভ্যাস, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সদস্য হওয়া এখনকার দিনের স্বাভাবিক ঘটনা। ডিজিটাল এই দুনিয়ায় তাই প্রতিদিনই ঘটছে এক বা একাধিক সাইবার অপরাধের সংখ্যা। সেই অপরাধের মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিস আধিকারিকের জন্যই এই ধরনের প্রশিক্ষণ ইদানীং অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।