বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনগোলা থানার খুটাদহের বাসিন্দা ধৃত ওই যুবকের নাম শুভঙ্কর ধর। বয়স ২৩ বছর। স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে সে বাড়িতেই কিছু ছাত্র পড়িয়ে সামান্য রোজগার করত। তার আগে সে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে পুলিস জানতে পেরেছে। পঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকার একটি থানায় জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃত ওই তরুণের মা সীমা ধর ও বাবা সুবল ধর বলেন, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে মোবাইল ফোনের নম্বর শুভঙ্কর দিয়েছিল সেটি সে হারিয়ে ফেলে। পরে নতুন একটি মোবাইল ফোনের কানেকশন নেয়। কিন্তু পুরনো মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে নতুন নম্বরটি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করেনি সে। ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও লেনদেন সংক্রান্ত এসএমএসও তাঁর কাছে আসত না। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অতি সামান্য অর্থ থাকায় ব্যাঙ্কে গিয়ে সে অ্যাকাউন্টের খোঁজখবরও নিত না।
সুবলবাবু বলেন, কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই ওই ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা এসে খোঁজখবর শুরু করেন শুভঙ্করের রোজগারের বিষয়ে। প্রাইভেট টিউশন পড়ানো শুভঙ্করের অ্যাকাউন্টে যে ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে তা জেনে অবাক হয়ে যান পরিবারের সদস্যরাও।
ওই তরুণের মা বলেন, ছেলে একটা স্মার্ট ফোন কিনেছিল কয়েক মাস আগে। সেই ফোনে সে বন্ধুদের সঙ্গে গেম খেলত। সেই সূত্রেই তাঁর অ্যাকাউন্টে এত বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে কি না তাও আমরা বুঝতে পারছি না। তবে আমার ছেলে খুব সাধারণ। তার অবৈধ কোনও আর্থিক লেনদেন থাকতেই পারে না। কেউ বা কারা চক্রান্ত করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকতে পারে। ওকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে বড় রাশির অর্থ লেনদেনের অভিযোগে বামনগোলার এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাঞ্জাবে নিয়ে গিয়ে তদন্তের কথা আমাদের জানিয়েছেন তাঁরা। আমরাও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তা বলেন, অনেকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে নিয়মিত অর্থের লেনদেন করেন না। অনেকে আবার ফোন নম্বরও আপডেট করেন না। সেক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা গ্রাহকদের সব সময় সতর্ক করি। সতর্ক থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।