বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস সুপার বলেন, খবর পেয়ে রাতে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের স্ত্রী মুক্তি কর্মকার বলেন, আমি ও আমার স্বামী দোকানের হালখাতা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময়ে একটি মোটর বাইক করে এসে তিন দুষ্কৃতী পথ আটকে ব্যাগ টানাটানি করে। আমার স্বামী বাধা দিতেই তারা গুলি করে পালিয়ে চলে যায়। কিছু নিয়ে যেতে পারেনি। যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের ফাঁসি চাই। স্থানীয় বাসিন্দা শিবা রায় বলেন, এমন ঘটনা তিওরে কখনও ঘটেনি। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তিওর বাজারে সোনার ব্যবসা করতেন প্রদীপ কর্মকার। পরিবারে তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। গয়নার দোকানের পাশাপাশি তাঁর সুদের ব্যবসা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দোকানে হালখাতা ছিল। রাতে দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। দোকান থেকেই একটি মোটর বাইক তাঁর পিছু নিয়েছিল। বাড়ির কাছাকাছি একটি মোড়ের আগে অন্ধকার গলিতে দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে প্রদীপবাবুর পথ আটকে ব্যাগ ধরে টানাটানি করে। ব্যাগে টাকা পয়সা ও কিছু গয়না ছিল। তা ধরে টানতেই প্রদীপবাবু ঝটকা দেন। তখন পেটে গুলি করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। প্রথমে বালুরঘাট হাসপাতাল ও পরে মালদহ নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে হিলি থানার পুলিস সারারাত হিলি সহ বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়ালেও দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি। এমনকী এলাকায় কোনও সিসিটিভি না থাকার কারণে পুলিস তদন্তের কিনারা করতে সমস্যায় পড়েছে। পুলিসের একমাত্র হাতিয়ার এখন কল ট্রেসিং। ঘটনার সময় সেই স্থানে কোন নেটওয়ার্কের সিম ব্যবহার হচ্ছিল তার ট্রেস পুলিস শুরু করেছে। মূলত ছিনতাই করতে এলে কোনও কিছু না নিয়ে কেন দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেল তা নিয়েও রহস্য দেখা দিয়েছে।
১. মৃত ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকারের শোকার্ত পরিজন। (ইনসেটে) প্রদীপ কর্মকার। ২.ঘটনাস্থলে জেলা পুলিস সুপার। - নিজস্ব চিত্র।