শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ বেলা ১টা নাগাদ হেলিকপ্টারে চেপে গাজোলে পৌঁছবেন। দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত তিনি মঞ্চে থাকবেন। যোগী আদিত্যনাথের সভায় যাওয়ার জন্য আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচার চালিয়েছি।
উল্লেখ্য, গাজোল বরাবর বামপন্থীদের গড় বলে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এখানে সিপিএম জয়লাভ করে। গত লোকসভা নির্বাচন থেকে গাজোলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। সেবার উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু গাজোলে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৫১ ভোট পান। অন্যদিকে, তৃণমূল এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ৬৭ হাজার ১৮০ এবং ১৮ হাজার ৫৫০ ভোট পেয়েছিল। ফলে গাজোলের রং যে পুরোপুরি গেরুয়া হয়ে গিয়েছে তা রাজনৈতিক মহল স্বীকার করে নিয়েছে। যদিও বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস দল পরিবর্তন করার পর বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। তাঁকে দলে নেওয়ার বিষয়টি গাজোলের স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। বিজেপি সমর্থকরা এর ফলে বিরূপ হতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছেন। কারণ গত পাঁচ বছর ধরে দীপালিদেবী এবং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরোধ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে তাঁরা বাজার গরম করেছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁদের জনভিত্তি গড়ে উঠেছিল। সেই দীপালি বিশ্বাসকে দলের উপরমহল তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা ক্ষোভের বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকেও জানান। যদিও রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এব্যাপারে তারা নিরূপায় বলে জেলা নেতৃত্ব ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করে।
এদিকে, গাজোল এবং হবিবপুর বিধানসভাকে পাখির চোখ করে বিজেপি নেতৃত্ব প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে। সেই কারণে যোগীকে জেলায় আনা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। গত লোকসভায় হবিবপুর কেন্দ্রে খগেনবাবু ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬৩০ ভোট পান। সেখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মিলিত ভোট ছিল প্রায় ৬৫ হাজার।
মালদহ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তথা দলের মিডিয়া শাখার ইনচার্জ অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দীপালি বিশ্বাসকে দলে নেওয়ার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের ব্যাপার। এবিষয়ে মন্তব্য করার কোনও এক্তিয়ার আমার নেই।