শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিস সহ একাধিক সরকারি অফিসে সমস্যা নিয়ে অতীতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তাই ভোটের প্রচারে যাঁরা আসবেন, তাঁদের কাছে পানীয় জলের দাবি অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হবে, এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
বালাপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত দেবনাথ বলেন, গ্রামে পিএইচই’র পানীয় জল মেলে না। তাই আমরা পেট্রল পাম্প থেকে জল নিয়ে এসে খাই। দু’দশক ধরে আমাদের দাবি গ্রামে নলবাহী পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হোক, কিন্তু হয়নি। প্রতিবছর ভোটের আগে প্রচারে এসে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আশ্বাস দেন। এবারও হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু আমরা চাই, এবার যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা অন্তত পিএইচইর জল গ্রামে সরবরাহের ব্যবস্থা করুক। এই দাবি আমাদের থাকবে। একইকথা বালাপাড়ার মিন্টু রায়, গৌতম দেবনাথের। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের দাবি করে এলেও তাতে কেউই কর্ণপাত করেনি। আমরা টিউবওয়েলের আয়রনযুক্ত জল পান করি। এতে অনেকেরই সারাবছর পেটের সমস্যা লেগে থাকে। রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বুথ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কোঅর্ডিনেটর হারাধন সরকার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা শুধু কাটমানি নিতেই ব্যস্ত থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা থাকলেও এটা তাঁদের চোখে পড়েনি। আমরা আশাবাদী, এবার ভোটে আমাদের দল ক্ষমতায় আসবে। আমরা গ্রামেগঞ্জে প্রচারে গিয়ে মানুষজনের সমস্যা ডায়েরিতে লিখে রাখছি। ক্ষমতায় আসার পর ওসব ধরে ধরে সমাধানের পথ খুঁজে বের করব।
পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেণুরঞ্জন সরকার বলেন, ওই গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা বহু পুরনো। গ্রামে পিএইচই’র ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা মাটি পরীক্ষা করে দেখেছেন। আশা করি, ভোট মিটলে জল নিয়ে গ্রামবাসীদের যে অভিযোগ তা মেটাতে কাজ শুরু করা যাবে।