শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলার মাল মহকুমার নবগঠিত ক্রান্তি ব্লকের মধ্যে দিয়ে যাওয়া চেল নদী রাজাডাঙা, ক্রান্তি, চাপাডাঙা, লাটাগুড়ি, মৌলানির মতো ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে তেশিমালা, কুমলাই, ডামডিম, ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। খরা মরশুমে নদীতে জল কম থাকায় বাসিন্দারা হেঁটেই পারাপার হন। কিন্তু বর্ষার সময়ে পাহাড়ি নদীতে জল বাড়লে তখন বাঁশের সাঁকো বাঁধেন গ্রামবাসীরা। সেই সাঁকোর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে কিংবা সাইকেল নিয়ে পারাপার হতে হয়। কিন্তু মোটর বাইক কিংবা গাড়ি নিয়ে চলতে হলে তখন প্রায় ৪০ কিমি ঘুরে মালবাজার শহরে আসতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরেই চেল নদীতে পাকা সেতুর দাবি উঠে আসছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট থেকে বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোটেও সেতুর দাবি জোরালো হয়। কিন্তু সেতু আর হয় না। এবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলের লোকজন ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন। তাঁদের সামনে গ্রামবাসীরা সেতুর দাবি তুলছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অবশ্য দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও কিছু করেনি। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তারা গ্রামবাসীদের বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারই রাজ্যজুড়ে উন্নয়ন শুরু করেছে। ফের তৃণমূল ক্ষমতায় এলে চেল নদীর উপর সেতু করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করা হবে।
রাজাডাঙার বাসিন্দা পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, বামেরা রাজ্যে টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে চেল নদীর উপর সেতু করেনি। তৃণমূল ১০ বছর থাকল, ওরাও করল না। অতীতে উত্তরবঙ্গের একাধিক মন্ত্রী এলাকায় এসে বলে গিয়েছেন সেতু করে দেবেন। কিন্তু কথা রাখেননি। সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া দার্জিলিংয়ের এমপি থাকাকালীন আমার বাড়িতে এসে বলেছিলেন, চেল নদীর উপর সেতু করে দেবেন। কিন্তু তিনিও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। আমরা গ্রামবাসীরা বলব, আর রাজনীতি না করে ক্ষমতায় যারাই আসুক সেতুটি করে দিক। যাঁরা এবার ভোট চাইতে আসবেন, তাঁদের কাছে আমরা সেতুর দাবি রাখব।
চেল নদী পেরিয়ে রাজাডাঙা, ক্রান্তি, চাপাডাঙা, মৌলানি সহ ওইসব এলাকার মানুষকে বিডিও অফিস, কলেজ, মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসতে হয়। বর্ষার তিনমাস নদীতে জল থাকায় তখন বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু মোটর বাইক, স্কুটার, টোটো নিয়ে আসতে হলে লাটাগুড়ি নতুবা কাঠামবাড়ি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে প্রায় ৪০ কিমি ঘুরপথ দিয়ে যেতে হয়। সেতু না থাকায় মালবাজারে সাপ্তাহিক হাটে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন।