শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন,উপদ্রুত এলাকাগুলিতে আমরা দ্রুত যেতে শুরু করব। সাধারণ ভোটারদের যাতে কেউ কোনওভাবে প্রভাবিত না করতে পারে, তার জন্য কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এব্যাপারে কারও কোনও অসুবিধা হলে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পুলিস আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে মোট ৪২৩০টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় জেলায় বুথের সংখ্যা শতকরা ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোট কর্মীকে কাজে লাগানো হবে। পরিকাঠামোর সামগ্রিক কলেবর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপদ্রুত এলাকাও বাড়বে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করছেন। ইতিমধ্যে স্পর্শকাতর (ভালনারেবল) এবং ক্রিটিক্যাল হিসাবে যথাক্রমে ৯৬৪ এবং ৫৫৬টি বুথকে প্রশাসন চিহ্নিত করেছে। কোনও এলাকায় কেউ ভয়ভীতি দেখালে সংশ্লিষ্ট বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সেই বুথে ভোট দেন এমন সকলের মন থেকে ভয় দূর করতে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে ভীতি প্রদর্শনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও প্রশাসন বাধ্য থাকবে। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবার অত্যন্ত কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। সকলে যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা জেলা পুলিস ও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে কমিশনের কর্তারা বলেছেন।
অন্যদিকে, ক্রিটিক্যাল বুথ হিসেবে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে কমিশনের একাধিক মাপকাঠি রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়ার হারকে কমিশন গুরুত্ব দিচ্ছে। ওই নির্বাচনে যেসব বুথে শতকরা ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে সেগুলি কমিশনের নজরে থাকছে। সংশ্লিষ্ট ভোটের শতকরা ৭৫ শতাংশ একটি দলের পক্ষে গেলে ওই বুথকে ক্রিটিক্যাল বলে গণ্য করা হবে। সেক্ষেত্রে ওই বুথ সন্দেহের তালিকায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট বুথের ধারেকাছে অবাঞ্ছিত লোকজনকে ঘেঁসতে দেওয়া হবে না। এইসব বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সাহস জোগাতে জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার টহল দেবেন। তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলবেন।
জেলা নির্বাচন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, স্পর্শকাতর এবং ক্রিটিক্যাল বুথে ওয়েবকাস্টিং করা হবে। দুই দফায় ভোট হওয়ায় আমাদের পক্ষে ক্যামেরা সহ আনুষঙ্গিক সামগ্রী জোগাড় করতে সুবিধা হবে। ভোটে প্রচুর যানবাহন প্রয়োজন হয়। দুই দফায় ভোট হওয়ায় বাইরে থেকে আমাদের যানবাহন আনতে হবে না। ফলে এলাকায় টহল দেওয়ার কাজও বেশি করা যাবে।