শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
হরিরামপুর ব্লক অফিসের পাশেই একটি মুদিখানা দোকানে গিয়ে মহিলা ৬০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট সিগারেট কিনতে গিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন। শেফালিদেবী বলেন, ছোট থেকে বড় হয়েছি, এমন দিন দেখতে হয়নি। আজ সরকারি কাজ করতে এসে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে নিয়ে গিয়ে এক কর্মীকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সাতদিন আমাকে ঘোরানো হচ্ছে। আর যাতে ঘুরতে না হয়, তাই সিগারেট কিনে ওনার হাতে তুলে দিয়েছি। ‘আপনি কি এনিয়ে বিডিও’র কাছে অভিযোগ করবেন? ওই মহিলার তাৎক্ষণিক জবাব, অভিযোগ করলে তো উনি আর কাজ করে দেবেন না। আবার আমাকে ছোটাছুটি করতে হবে। তাই এক প্যাকটে সিগারেট তো কিনেই নিলাম, দেব বলে। এরপরই শেফালিদেবী ওই সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে সরাসরি ব্লক অফিসের ভিতরে গিয়ে ওই কর্মীর হাতে তুলে দেন। সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে কিছুক্ষণ বসার পর শংসাপত্রটি তিনি পেয়েও যান। পরে তা উল্লেখ করে বলে যান, সিগারেট দেওয়ার পর সত্যিই কাজ হয়েছে।
হরিরামপুর ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মালসারাপুর গ্রামের বৃদ্ধা সাবিত্রী রানি দাস ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন পেতেন। গত বছর এপ্রিলে তিনি মারা গিয়েছেন। অ্যাকাউন্টে বৃদ্ধার কিছু টাকা থাকায় তাঁর মেয়ে শেফালি দাস মালদহ থেকে হরিরামপুরে এসে একটি ব্যাঙ্কে তা তুলতে যান। কিন্তু ব্যাঙ্কের তরফে শংসাপত্র চাওয়া হয়। সেই শংসাপত্র নিতে গিয়েই সাতদিন ঘুরে অবশেষে এক প্যাকেট সিগারেট দিয়ে তাঁকে কাজ হাসিল করতে হয়।
এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে হরিরামপুর ব্লকের ওই কর্মী বলেন, ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর পর সরকারি ১১ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। পরিবারের নমিনি এসেছিলেন। আমরা একটি শংসাপত্র করে দিয়েছি। ওই মহিলা সিগারেট খাওয়াতে চেয়েছিলেন। তিনি কাজের পর এক প্যাকেট সিগারেট দিয়েছেন। আমরা অফিসের সবাই মিলে খেয়েছি।
এই খবর চাউর হতেই জেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, হরিরামপুর ব্লকে সরকারি কাজ করাতে গিয়ে উপভোক্তা মহিলা ব্লকের কর্মীকে সিগারেট কিনে দিচ্ছেন, এই ঘটনা সাধারণ ঘটনা নয়। মহিলা অভিযোগ জানালে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ব্লক অফিসের সিসিটিভির ফুটেজ তদন্তের স্বার্থে খতিয়ে দেখার জন্য ব্লক আধিকারিককে বলব।