কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
দপ্তরের জেলা অধিকারিক সোমনাথ রায় বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এই পেনশন প্রাপকের সংখ্য প্রায় দ্বিগুণ। শ্রমিক মেলা থেকে নতুন প্রাপকদের হাতে পেনশন তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রাপকেরা কেউ একসঙ্গে নয় মাস, কেউ বা আট মাসের পেনশন পাচ্ছেন। এই নতুন প্রাপকদের নাম প্রায় এক বছর আগে রাজ্যে পাঠান হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারনে সেসময় রাজ্য থেকে পেনশন আসেনি। সম্প্রতি তাঁদের নামে পেনশন এসেছে। সেজন্যই বকেয়া একাধিক মাসের পেনশন একসঙ্গে এসেছে। এর পর থেকে প্রতি মাসে নিয়ম মেনেই পেনশনের টাকা ঢুকবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পেনশন পেতে হলে অন্তত পাঁচ বছর শ্রম দপ্তরের যোজনায় শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। সেই নথিভুক্ত শ্রমিকের বয়স ৬০ বছর পেরোনোর পর থেকে দপ্তরের নিয়ম অনুসারে তিনি পেনশন পেতে পারেন। নির্মান শ্রমিকরা মাসে ৭৫০ টাকা ও পরিবহণ শ্রমিকেরা ১৫০০ টাকা করে পেনশন পান।
শ্রমিকরা বলছেন, নিয়ম অনুসারে ৬০ বছর হওয়ার পরে দপ্তরে পেনশনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদন করার পর অনেক মাস পেরিয়ে গেলেও পেনশন না আসায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। অবশেষে পেনশন চালু হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি।
এদিন গেয়ালপোখর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা মণিভিটায় শ্রমিক মেলা আলোড়ন ফেলে দেয়। কারণ এর আগে এই মেলা সাধারণত শহরেই হয়ে এসেছে। এই প্রথম এমন একটি প্রত্যন্ত এলাকায় মেলার আয়োজন করা হল। এদিন এই মেলার উদ্বোধন করেন শ্রম দপ্তরের উত্তর দিনাজপুর জেলার আধিকারক সোমনাথ রায়। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকরাও।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারও মেলা চলবে। মেলার মাধ্যমে উপভোক্তাদের হাতে পেনশন তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা যোজনার প্রচার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শ্রম আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।