কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
কোচবিহারের ডিএফও সঞ্জিতকুমার সাহা বলেন, রসিকবিলে জলাভূমির পাখি গণনার কাজ শেষ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার পাখি বেশি এসেছে। সংলগ্ন এলাকায় কিছু সমস্যা আছে। মানুষ সচেতন না হলে আমরা একা কিছু করতে পারব না।
রসিকবিলে ১৭৮ হেক্টর এলাকায় জলাভূমি রয়েছে। এখানেই প্রতিবছর নানা প্রজাতির পাখি আসে। রসিকবিল ২০১৮ সালে জাতীয় জলাভূমির তালিকায় স্থান পায়। এবার এখানে ৫০টি প্রজাতির প্রায় ৫০০০ পাখি এসেছে। গতবছর এখানে প্রায় ৪৫০০ পাখি এসেছিল। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার এখানে পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে নর্দান পিনটেল, রেড কেসটেড পোচার, বিরল প্রজাতির ফ্যালকেটেড ডাক, ওরিয়েন্টাল ডারটার, ফেরুগিনাস পোচার্ড, সার্স স্যান্ডপাইপার, অসপ্রে, ফিস ঈগল, গ্রে হেডেট ল্যাপ উইং সহ আরও নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এখানে এসেছে। এছাড়াও স্থানীয় পাখির সংখ্যাও বেশ ভালো সংখ্যায় রয়েছে। এরা স্থায়ীভাবেই এখানে থাকে। এর মধ্যে লেসার হুইলিং ডাক বা সরাল, মাছ রাঙা, পানকৌরি সহ অন্যান্য পাখি আছে।
গত কয়েকদিন ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১০ জন সদস্য ও বনদপ্তরের ১০ জন সদস্য মিলে রসিকবিলের বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে দূরবীণ ও ক্যামেরার সাহায্যে এসব পাখিদের পর্যবেক্ষণ ও গণনার কাজ চালিয়েছেন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরল প্রজাতির ফ্যালকেটেড ডাক এবার এখানে দু’টি মাত্র দেখা গিয়েছে। এছাড়াও সার্স স্যান্ডপাইপার গোত্রের পরিযায়ী পাখি ২৫টি দেখা গিয়েছে। যা গতবছর মাত্র চার-পাঁচটি দেখা গিয়েছিল। জলভূমি ভালো থাকলেই এই প্রজাতির পাখিরা আসে।