কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
দীর্ঘ লকডাউনের জেরে এখন বাড়িতে একপ্রকার বন্দি থাকাটাই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে সকলের। দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ, কম্পিউটারের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে থাকছেন প্রায় সব বয়য়ের মানুষ। বিশেষ করে পড়ুয়ারা। ফলে চোখের পাওয়ার বেড়ে যাওয়া থেকে ড্রাই আইয়ের মতো নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে ভিড় বাড়ছে চিকিৎসকদের চেম্বারে।
বালুরঘাট শহরের অনেকেই ড্রাই আই সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি চিকিৎসকদের কাছে গিয়েছেন। আক্রান্তদের তালিকা থেকে বাদ যায়নি খুদে পড়ুয়ারাও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অজয়কুমার সাহা বলেন, ড্রাই আই সাধারণত চোখের জল শুকিয়ে যাওয়ার রোগ। অশ্রুগ্রন্থি তখন আর প্রয়োজনীয় জল তৈরি করতে পারে না। চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে প্রদাহ হয়। অস্বস্তি হয়। এছাড়া এখন কমবয়সীদের মধ্যে মায়োপিয়া ও মাইগ্রেনের মতো সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। মায়োপিয়ার ক্ষেত্রে দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়। মাইগ্রেন হলে মাথা-কপালে অসম্ভব যন্ত্রণা হয়।
বেশিক্ষণ স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ব্যবহার করলে বা একটানা তাকিয়ে থাকলে এই রোগগুলি হতে পারে। এসব থেকে রক্ষা পেতে বেশি করে চোখের পাতা বন্ধ করার অভ্যাস করতে হবে। সেইসঙ্গে একটানা তাকিয়ে না থেকে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে। চোখে জলের ঝাপটা দিতে হবে। বালুরঘাট শহরের এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, লকডাউনের আগে থেকেই বালুরঘাট শহরে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ ড্রাই আই বা মায়োপিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু এখন যেভাবে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের বেশি ব্যবহার হচ্ছে, তাতে সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা আরও বেশি করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এই রোগ থেকে বাঁচতে চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্পণ সরকার বলেন, এই সময় মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। ফলে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করছে অনেকে। তাই বর্তমানে অনেকেই নানা চক্ষুরোগে ভুগছেন। সেই সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম ড্রাই আই রোগ। ছোটদেরও এই সমস্যা হচ্ছে। স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজন হলে অবশ্যই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বালুরঘাট শহরের বাসিন্দা প্রদীপ কুণ্ডু বলেন, আমার ছেলে তো অনেকক্ষণ অনলাইনে ক্লাস করে।
স্কুলের ক্লাস, প্রাইভেট টিউশন, সবই অনলাইনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই বলছে চোখ জ্বালা করছে। ছেলেকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। আরএক খুদে পড়ুয়ার অভিভাবক প্রতিভা ঠাকুর বলেন, আমার ছেলে বেশিরভাগ সময় স্মার্টফোনেই কাটাচ্ছে। ওর চোখের পাওয়ার না বেড়ে যায়, সেই ভয় পাচ্ছি।